কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা ও মাদক মামলার আসামি সলিম উল্লাহ (৩৬) নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই) ভোররাতে উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালি মেরিন ড্রাইভ রোড লাগোয়া ঝাউবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সলিম টেকনাফ পৌরসভার নতুন পল্লান পাড়ার নজির আহমদের পুত্র। এসময় অস্ত্র ও গুলি এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র্যাবের ২ জন সদস্যও আহত হন বলে দাবি করা হয়েছে।
টেকনাফ র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে র্যাব ১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের একটি দল মেরিনড্রাইভের ঝাউবাগান এলাকায় ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গেলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে মাদক ব্যবসারীরা। এসময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছু সময় গোলাগুলির একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে দুটি এলজি, ১০ হাজার ইয়াবা, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৩টি খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সলিম উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
তাকে দ্রুত উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে রয়েছে।
মির্জা শাহেদ মাহতাব আরো জানান, গত ২৭ এপ্রিল টেকনাফের ইসলাবাদ ধুমপেরাংবিলের সলিম উল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ইয়াবা বড়িসহ নিহত সলিম উল্লাহর স্ত্রী সাবেকুন নাহারকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় কৌশলে সলিম উল্লাহ পালিয়ে যান। ওই মামলার (নং ৮১/৩০৭) প্রধান আসামি ছিল সলিম।
একসময়ের দরিদ্র পান দোকানদার সলিম উল্লাহর জীবনে আচমকা পরিবর্তন আসে বছর দশেক আগে। ২০০৮ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আনোয়ারের মেয়ে সাবেকুন নাহারের সঙ্গে বিয়ে হয় সলিমের। মূলত এরপর থেকেই সলিম উল্লাহর জীবনযাত্রা বদলে যেতে থাকে রাতারাতি। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে এনে টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেন। অল্পদিনেই হয়ে যান বিপুল সম্পদের মালিক। টেকনাফ পৌরসভায় ৩৫ লাখ টাকায় জমি কিনে কোটি টাকায় সেখানে তৈরি করেন বিলাসবহুল বাড়ি। চলাফেরা করতের কখনও মোটরসাইকেলে, কখনও মাইক্রোবাসে।