পানির নিচে ১০ উপজেলা

পানির নিচে ১০ উপজেলা 1প্রতিদিন রিপোর্ট : এতদিন ছিল নিম্নচাপের প্রভাবে বিরতিহীন বৃষ্টি । এখন বৃষ্টি থেমেছে । কিন্তু থামেনি মানুষের দূর্ভোগ । বৃষ্টির পানিতে উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হলেও বুধবার বৃষ্টি পরবর্তী পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ১০ উপজেলা তলিয়ে গেছে ।
ফলে রাস্তা-ঘাট, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদীর তীর উপচে লোকালয় ও সড়কে চলে আসা পানিতে চট্টগ্রামের ১০টি উপজেলার জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।

জেলার পটিয়া, চন্দনাইশ, রাউজান, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। আনোয়ারা, বোয়ালখালী ও লোহাগাড়া উপজেলায়ও পানিতে ঘরবাড়ি ও সড়ক তলিয়ে গেছে। হালদা, ধুরুং, সত্তা, শঙ্খ ও ডলু নদী বেয়ে নেমে আসা পানি স্থানীয় খাল-নালা বেয়ে এসব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
.

এসব এলাকায় এখনো পানিবন্দী রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। অনেক এলাকায় সড়ক ভেঙে গিয়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরে টর্নেডোতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েকহাজার পরিবারের। কোন ধরনের সরকারি সহায়তা না পেয়ে এখনো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার লোকজন। প্রচণ্ড বাতাসের বেগে উপড়ে গেছে এসব বাড়ির চাল। এ এলাকার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি মেরামতের চেষ্টা করছে।
.

নগরীর বাইরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায়ও টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জেলার বোয়ালখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, সীতাকুন্ডু মিরসরাই ও সন্দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভারি বর্ষণ পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রবি ও সোমবারের ভারি বর্ষণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সাঙ্গু নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
.

সোমবার রাত ২টায় হঠাৎ সাঙ্গু নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে দুই পাড়ে উপচে পড়েছে। এই সময় উপজেলার দোহাজারী, সাতবাড়িয়া, বরকল, বরমা, জোয়ারা, কাঞ্চনাবাদ, হাসিমপুর, বৈলতলী, ধোপাছড়ী ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মানুষের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার কসাইপাড়া থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে আছে।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বান্দরবান জেলা সদর : বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের বাজালিয়া ও দৌরিহাট এলাকায় বরাবরের মতো এবারও বানের পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। ফলে জেলা সদরের সঙ্গে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!