পানির দাম বৃদ্ধি ও স্যুয়ারেজ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন

চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সভায় আবাসিক সংযোগে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৯ টাকা ৯২ পয়সার স্থলে ১৬ টাকা ও বাণিজ্যিকে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সার স্থলে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

ওয়াসার হিসেবে ১ হাজার লিটার পানিতে এক ইউনিট। একই সভায় চট্টগ্রাম নগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) ওয়াসার চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় প্রস্তাব দুটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে ওয়াসা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম পানির দাম বাড়ানো যায় কিনা খতিয়ে দেখতে বলেছেন। এজন্য উৎপাদন ব্যয় অনুযায়ী দাম রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বোর্ড সভায়। প্রতি হাজার লিটার পানি উৎপাদন খরচ বর্তমানে প্রায় ১৬ টাকা। সরকার ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে ১০ টাকার কম। আগে ভূ-গর্ভস্থ পানি বেশি উত্তোলন করতো ওয়াসা। এখন ভূ-উপরিস্থ পানি আলাদাভাবে শোধন করায় উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, পানির উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রয়মূল্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয়ে যাবে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে নতুন দাম কার্যকর হবে।

পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব)।

ক্যাবের সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার এই সিদ্ধান্ত গ্রাহকের স্বার্থ বিরোধী। সিস্টেম লস, লিকেজের কারণে অনেক পানি নষ্ট হয়। সেদিকে নজর না দিয়ে গ্রাহকের ঘাড়ে বোঝা তুলে দিচ্ছে ওয়াসা। অথচ ওয়াসার আইন অনুযায়ী তারা প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে দাম বাড়াতে পারে। চলতি বছর পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে ছয় মাসের মাথায় আবার ৬২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পাস করলো।

ওয়াসা চেয়ারম্যান আরো জনান, নগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসা এতে অর্থায়ন করছে।

প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর ইরিনকো এসডিএন বিএইচডিকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ দিতে প্রকল্পের প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২০ লাখ নগরবাসী এর সুফল ভোগ করবেন ।

সভা সূত্রে জানা যায়, বোর্ডে গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সভায় ওয়াসার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল্লাহ, বোর্ড সদস্য ও বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!