পানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও কপাল পুড়বে ১৫ হাজার মানুষের!

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি সরে যাচ্ছে। সরে যাওয়া এসব পানিতে বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই উপজেলা ও রাঙামাটি জেলাসদরে নতুন করে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় শহরের এবং হ্রদের তীরবর্তী জনবসতি ডুবে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থায়ীরা। তারা বলছেন হ্রদে পানি বাড়ার কারণে রাঙামাটি শহরের হ্রদতীরবর্তী প্রায় ১৫ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষ দুই মাস ভোগান্তিতে পড়বে।

তবে এই অস্বস্তির মধ্যেও খুশির খবর হলো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোববার (১৪ জুলাই) থেকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই চালু হয়েছে। আর ২৪২ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রেটিতে প্রথম দিনেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২০২ মেগাওয়াট। অথচ পানির অভাবে গত ২০ মে থেকে পাঁচটির মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে আসছিল।
Rangamati

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ড. এমএমএ আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘পানি আরো বাড়লে কাপ্তাই বাঁধের ২১ স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছেড়ে দেওয়া হবে। পানির বর্তমান উচ্চতা ১০১ ফিট এমএসএল (মিনসি লেভেল)।’

রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল বলেন, ‘জেলায় ২৮ হাজার ৪৫২ জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলার ১০ উপজেলায় ৬৪৫০ হেক্টর আউশ ধান, ৩৮৮ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা ও ২৪৭৫ হেক্টর সবজির ফসল ক্ষতি হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন পানি বাড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি করছেন।’

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে এ পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলায় চারজন ও লংগদু-বরকলে পানির স্রোতে তলিয়ে দুইজনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ভারী যান চলাচল করতে পারছে না। রাঙামাটি-বান্দরবান এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এক সপ্তাহেও সচল হতে পারেনি।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!