পানিতে করোনার জীবাণু বাঁচে কিনা পরীক্ষা করবে ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম এ নিয়ে ভাবছে না

পানিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে ঢাকা ওয়াসা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন পানিতে করোনার অস্তিত্ব থাকার কথা জানালো, তখন ঢাকা ওয়াসার এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ল্যাব কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে পরীক্ষা করে দেখবে করোনারোগীদের বর্জ্যে থাকা ভাইরাস পানিতে মেশার পর কতো সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে কিংবা পানির সংস্পর্শে এসে ওই ভাইরাস আদৌ সংক্রমিত হয় কিনা।

নদীর পানিকে শোধন করে চট্টগ্রাম ও ঢাকা ওয়াসা লাখ লাখ গ্রাহকের কাছে পানযোগ্য পানি সরবরাহ করে আসছে। এখন এই পানিতে যদি করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মেলে, তাহলে তার ফল হতে পারে ভয়াবহ।

এমন সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ঢাকা ওয়াসা পানি পরীক্ষা করে দেখার উদ্যোগ নিলেও চট্টগ্রাম ওয়াসায় এ ধরনের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কিছু ভাবিনি। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে এটা দেখা যাবে।’

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ব্যবহৃত পানি ও মলে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। তাদের হাঁচি ও কাশিতেও রয়েছে ভাইরাসটি। এসব রোগীর বর্জ্য সরাসরি যায় স্যুয়ারেজে। এরপর সেসব গিয়ে মিশে যায় নদীর পানিতে। ফলে ওই পানিতেও করোনাভাইরাসের জীবাণুর অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব কিছু নয়।

তারা বলেন, এই নদীর পানি যেমন বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। আবার সেই নদীর পানি শোধন করে পানযোগ্য পানিতে পরিণত করে গ্রাহকের কাছেও পৌঁছায়। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে, স্যুয়ারেজের পানি কিংবা শোধন করা পানিতে করোনার জীবাণু কতো সময় পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বর্জ্য সরাসরি স্যুয়ারেজে লাইনে ফেলা ঝুঁকিপূর্ণ। হাসপাতালের বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে সেসব অপসারণের ব্যবস্থা করা জরুরি। তবে এখনও পর্যন্ত আশার কথা হচ্ছে, বাতাস ও পানিতে করোনাভাইরাসের শক্তি তুলনামূলক কম থাকে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!