পাথরের ট্রাক উঠতেই বিকট শব্দে ভেঙে পড়লো মাইনী ব্রিজ

দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে থাকা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার অস্থায়ী মাইনী ব্রিজ ভেঙে পাথরবাহী একটি ট্রাক খালে পড়ে গেছে। এই দুর্ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও ট্রাকের ড্রাইভার গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পাথরের ট্রাক উঠতেই বিকট শব্দে ভেঙে পড়লো মাইনী ব্রিজ 1

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের জামতলী এলাকায় মাইনী ব্রিজে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর পাওয়া যায়, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের দীঘিনালা উপজেলার মাইনী ব্রিজ দিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে আসা একটি পাথর বোঝায় ট্রাক সাজেকের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি ব্রিজের শেষপ্রান্তে পৌঁছালে হঠাৎ বিকট একটি শব্দ করে ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে ট্রাকটি খালে পড়ে যায়। এই ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও ট্রাকের ড্রাইভার গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পরপরই খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।

জানা যায়, খাগড়াছড়ির সাজেকসহ রাঙ্গমাটির দুই উপজেলার যোগাযোগের জন্য মাইনী ও জামতলী এলাকায় ৩ দশক আগে অস্থায়ীভাবে দুইটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে এই দুই সেতু দিয়ে পর্যটকবাহী পরিবহন ও কাঠবাহী ভারি যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। যার কারণে ব্রিজ দুইটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে থাকা বেইলি ব্রিজ দুটি ভেঙে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। যার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ও স্থায়ী বাসিন্দা ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।

২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর মাইনী ব্রিজ দিয়ে একটি কাঠ বোঝাই ট্রাক যাওয়ার সময় ব্রিজের পাটাতন ভেঙে খালে পড়ে যায়। ওই সময় সাজেক, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল। এরপর ব্রিজটা পুনরায় সংস্কার করে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করা হয়।

তারআগে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর জামতলী এলাকার আরেক বেইলি ব্রিজটি ভেঙে কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ তিনটি গাড়ি খালে পড়ে যায়। এ ঘটনায় আটজন আহত হয়।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে মাইনী ব্রিজটি ভেঙে যায়। একটি পাথর বোঝাই ট্রাক খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দিকে যাওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এই ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও ট্রাকের ড্রাইভার গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

যানজট ও মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাজেকসহ রাঙামাটির দুইটি উপজেলার সড়কে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এই ব্রিজ দুইটি ব্যবহার করা হয়। এখন যেহেতু একটা ব্রিজ ভেঙে গেছে একটু যানজট ও মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। মানুষ বিকল্প পথ হিসেবে অন্য ব্রিজটি ব্যবহার করছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!