পাথরঘাটার বিস্ফোরণে বাড়ির মালিককে আসামি করে মামলা

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটায় ‘গ্যাস লাইন’ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় বড়ুয়া ভবনের মালিক দুই সহোদরের বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার দুপুরে (১৮ নভেম্বর) অবহেলাজনিত নরহত্যা ও ক্ষতিসাধনের অভিযোগে নিহত রিকশাচালক মাহমুদুল হকের স্ত্রী শাহীনা আক্তার বাদি হয়ে মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিস্ফোরণে নিহত রিকশাচালক মাহমুদুল হকের স্ত্রী শাহীনা আক্তার বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। এছাড়া আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’ তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে— বড়ুয়া ভবনের মালিক দুই সহোদর অমল বড়ুয়া ও টিটু বড়ুয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটার ব্রিকফিল্ড রোডে বড়ুয়া ভবনের এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে নারী শিশুসহ ৭জন নিহত হন। এ ঘটনায় দগ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন স্কুল শিক্ষক অ্যানি বড়ুয়া (৪০), গৃহবধূ জুলেখা খানম ফারজানা (৩৩), তার দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ৭ বছর বয়সী শিশু আতিকুর রহমান শুভ, রিকশাচালক আব্দুল শুক্কুর (৫০), ভ্যানচালক মো. সেলিম (৪০), পাশের ভবনের রঙ মিস্ত্রি নুরুল ইসলাম (৩১), চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ায় তেইল্যাকাটা সেনেরচরে মাহমুদুল হক (৩০)।

বিস্ফোরণে ওই ভবনের নিচতলার দেয়াল ও সীমানা প্রাচীর ধসে রাস্তার উপর পড়লে পথচারীর, রিকশাচালক নিহত ও আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতোই শক্তিশালী ও ভয়াবহ ছিল যে বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণের কারণে রাস্তার অপর পাশে অবস্থিত জসীম বিল্ডিংয়ের নিচতলার দোকানে গিয়ে পড়ে নিহত ও আহতদের অনেকে। এমনকি সেখানকার কলাপসিবল গেটসহ ভেঙে ওই ভবনের বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিএমপি, কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডে (কেজিডিসিএল) পক্ষ থেকে মোট চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!