পাত্রী দেখতে গিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা হল মৃত্যুদূতের

মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধু বরকত উল্লাহর জন্য পাত্রী দেখতে মিরসরাই গিয়েছিলেন রাকিব উল্লাহ খান সোহেল। মোটরসাইকেল যোগে তারা দুইজনই গিয়েছিলেন সেখানে। পাত্রী দেখে ফিরে আসার সময় নেমে আসে সন্ধ্যা। আর এই সন্ধ্যা তাদের সামনে হাজির হয় মৃত্যুদূত রূপে।

সীতাকুণ্ড থানা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন রাকিব। সড়কে চলন্ত একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে পড়ে তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বরকতের। অপরজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে৷

মঙ্গলবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার সিরাজুল মিয়া রাস্তার মাথায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বরকত উল্লাহ জন (২৮) বাড়ি পাহাড়তলী থানার সিগনাল কলোনী এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। বরকত উল্লাহ পাহাড়তলী থানা ছাত্রদল নেতা রহমত উল্লাহ ডনের ছোট ভাই।

৩ সন্তানের জনক রাকিব উল্লাহ খান সোহেলের (৩৫) বাড়ি আকবর শাহ থানার পাঞ্জাবি লেইন এলাকায়। রাকিব উল্লাহ খান সোহেল রেলওয়ে ডিজেল শপের কারখানা শাখায় কর্মরত রয়েছেন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেল কর্মচারী কল্যান ট্রাষ্ট পাহাড়তলী শাখার নির্বাচিত পরিচালকও তিনি।

নিহত রাকিবের বড় ভাই সোহেল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, বন্ধু বরকত উল্লাহ জনের জন্য পাত্রী দেখতে মিরসরাই গিয়েছিল রাকিব। দুই জন মোটরসাইকেলে চড়েই মিরসরাই যায়। চট্টগ্রাম ফেরার পথে সীতাকুণ্ডে একটি বড় লরির পেছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা খায় তাদের মোটরসাইকেলটি। ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বরকত উল্লাহ জন। পরে চমেক হাসপাতালে আনা হলে মারা যায় রাকিব।

জেএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!