পাচারের সময় ২ ভল্লুক শাবক উদ্ধার চকরিয়ায়, পাচারকারী গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে পাচারের সময় দুটি বিপন্ন প্রজাতির ভল্লুক শাবক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই সময় দীপক দাস নামের বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর রাতে দীপক দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী।

দীপক দাস কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দিগরপানখালী এলাকার মৃত সোনা রাম দাসের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী পাচার আইনে চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উদ্ধার করা ভল্লুক শাবক দুটি কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে কোরান্টিন শেডে রাখা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী পাচার করে আসছে দীপক দাস। সম্প্রতি বিপন্ন প্রজাতির দুটি ভল্লুকের শাবক পাচার করছে বলে গোপন সংবাদ আসে। খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ভোরে চকরিয়া পৌরশহরের দিগরপানখালী থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুটি ভল্লুকের বাচ্চাসহ দীপক দাসকে আটক করি। তার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য উদঘাটন শেষে শনিবার বিকালে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার দিকে দুটি বিপন্ন প্রজাতির ভল্লুক শাবক পার্কে হস্তান্তর করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। যেহেতু ভল্লুক দুটি এখনও বাচ্চা, তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পার্কের হাসপাতালে রাখা হয়েছে।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘দুটি ভল্লুকের শাবকসহ পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে থানায় হস্তান্তর করেছে জেলার বিশেষ শাখার পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের এসআই আবদুল হালিম বাদি হয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!