পাকিস্তানি রসালো মাল্টার চাষ হচ্ছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়

পাকিস্তানি রসালো মাল্টার চাষ হচ্ছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। আবু সুরা নামের সেই মাল্টার চাষে এমনই সাফল্য এসেছে যে, সৌখিন ফলচাষী আবছার উদ্দিন এখন এতেই দেখছেন দারুণ সম্ভাবনা। দেশে ও বিদেশে ফলটির বিপুল চাহিদা রয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমানের ছেলে আবছার উদ্দিন। পেশায় তিনি নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসায়ী।

জানা যায়, তিন বছর আগে আবছার তার নিজ বাড়ির পশ্চিমে পাহাড়ি এলাকায় ৪ একর জমিতে গড়ে তোলেন পাকিস্তানি মাল্টার চাষ করেন। এর পাশাপাশি অবশ্য তার বাগানে আরও রয়েছে লেবু, কমলা, আতা, জাম্বুরা, আমলকি, লিচু, ফজলি, আম্রপালি, রুপালী আমের বাগান। সঙ্গে শাক-সবজি তো রয়েছেই। বাগানের পাশেই সমতল ভূমিতে রয়েছে বিশাল পেঁপে বাগান।

সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মঙ্গলচাঁদ পাড়ার পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আবছারের মাল্টা বাগানটি আকারেও বিশাল। প্রায় চার একর জায়গায় সারি সারি করে লাগানো হয়েছে গাছগুলো। কিছু গাছে ইতিমধ্যে যে পরিমাণ ফলন এসেছে, তাও নজরকাড়ার মতো।

আবছার জানান, তার বাগানে তিন জাতের মাল্টা গাছ আছে। গাছগুলোর বয়স কোনোটি এক, কোনোটি দুই, আবার কোনোটির বয়স চার বছরও হবে। অনেক গাছেই ইতিমধ্যে যথেষ্ট ফলন এসেছে। তিনি আরও জানান, বাগানের সবগুলো গাছে ফলন পেতে ৮ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে। আর ইতিমধ্যে যেসব মাল্টা পূর্ণ রূপ পেয়েছে, সেগুলো পাকতে আরও এক মাস সময় লাগবে।

বাজারে পাকিস্তানি এই রসালো মাল্টার কেজি প্রায় ২৪০ টাকা। তবে বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে প্রতি কেজিতে এর দাম উঠবে ৪০০ টাকা।

আবছার বলেন, এই বাগান নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। এ পর্যন্ত বাগানটি করতে ৪-৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাগানের কিনারা ঘেঁষে মৌসুমী সবজি চাষ করে পেয়েছি অর্ধলক্ষাধিক টাকা। লেবু বিক্রি করেও প্রতিবছর ১৫ হাজার টাকার ওপরে আসে। আর পেঁপে বিক্রি তো রয়েছেই সারা বছর।

সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, মাল্টা চাষী আবছারের বাগান আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনা উদপাদন প্রকল্পের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতাও করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাল্টা চাষী আবছার সফল হবেনই।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!