পাওনা টাকা না পেয়ে শিশুকে জিম্মি, চার ঘণ্টা পর উদ্ধার

কক্সবাজার থেকে তুলে নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে

পাওনা টাকা না পেয়ে তিন বছরের এক শিশুকে জিম্মি করার ৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মো. শরীফ নামে ৩৩ বছর বয়স্ক একজনকে আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, শরীফই শিশুটিকে অপহরণ করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে।

জুনায়েদ আটক শরীফের স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা দিকে কক্সবাজারের রামু থানাধীন ফকিরাবাজার এলাকা থেকে জুনায়েদকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাকে চট্টগ্রামের নতুন রেলস্টেশন গেটের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নারায়নপুর নবীনগর পৌরসভার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. শরীফ (৩৩)। তবে বিষয়টি পুলিশ সাংবাদিকদের একদিন পরে অবহিত করে।

জানা যায়, জুনায়েদের মা এবং বাবা কক্সবাজারের রামুর ফকিরাবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। দুইজনই পাশ্ববর্তী আড়ং বেকারি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এক বছর আগে জুনায়েদের পিতা মো. জাহাঙ্গীর তার বোন জামাই শরীফ থেকে নিজের প্রয়োজনে ১ লাখ টাকা ধার নেন।

করোনাকালে ওই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি জাহাঙ্গীর। শরীফ পাওনা টাকা না পেয়ে শিশুর পিতা জাহাঙ্গীরকে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। সে হিসেবে জাহাঙ্গীর তাকে ফকিরাবাজার এলাকায় রিক্সা চালাতে বলেন। তার কথা মতো ৩ মাস রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন শরীফ।

পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় তারা দুইজন রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাকরিতে চলে গেলে শরীফ তাদের ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে জুনায়েদের বড় বোনের কাছ থেকে জুনায়েদকে তার মায়ের কাছে বেকারিতে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান।

পরে মায়ের কাছে গিয়ে ভাইয়ের খোঁজ করলে বোন জানতে পারে ভাইকে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শরীফ। সাথে সাথে মো. শরীফকে কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অপহরণের শিকার তিন বছরের এক শিশুকে রোববার বিকেলে নগরীর নতুন রেলস্টেশন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়, এসময় মো. শরীফ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পারি পাওনা টাকা আদায় করার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে শরীফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এএন/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!