পাঁচ দফা দাবি পূরণে চবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম

প্রশাসক পদ বাতিল, অফিসাদের পদ থেকে শিক্ষকদের প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা পূরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষকে পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার ও কর্মচারীরা। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে ধারাবাহিক আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে গঠিত সংগঠন কর্মকর্তা-কর্মচারী যৌথ সংগ্রাম পরিষদ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত না করে বরং স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রাপ্ত অনেক সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

পাঁচ দফা দাবি হলো-

১. প্রশাসক পদ বাতিলসহ অফিসারদের সকল পদ হতে সম্মানিত শিক্ষকদের প্রত্যাহার।
২. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি নির্বাচনী বোর্ড সভা বাস্তবায়ন।
৩. কর্মকর্তাদের ডিউ ডেইট সুবিধা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখা।
৪. ৩য় শ্রেণী কর্মচারীদের পদোন্নতির নীতিমালা সংশোধন-সংযোজন পূর্বক সময়োপযোগী করা।
৫. ওয়ারিশ সূত্রে চাকরি নিশ্চিতকরণ (বিশেষত যারা চাকুরীরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন) করতে বিগত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০২ তারিখে অনুষ্টিত সিন্ডিকেটের ৩৯১ তম সভার ৯(১) সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শিক্ষকদের কাজ গবেষণা, উদ্ভাবন এবং উচ্চশিক্ষা বিতরণ হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানিত শিক্ষকরা বিভিন্ন নামে বেনামে দাপ্তরিক কাজকর্ম নিয়ে জীবনের মূল্যবান সময়টুকু অতিবাহিত করছেন যা মোটেও কাম্য নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ এ্যাক্ট বহির্ভূত অবৈধ প্রশাসক পদ বাতিলসহ অফিসারদের সকল প্রশাসনিক পদ হতে সম্মানিত শিক্ষকদের প্রত্যাহার এবং সিনিয়র অফিসারদের পদায়নের জোর দাবী জানাই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পরিবার বলা হলেও কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্য পরিহার করে দ্রুততর সময়ের মধ্যে পদোন্নতি বোর্ডের ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গঠনমূলকভাবে দূর্বার কর্মসূচীর মাধ্যমে যৌথ সংগ্রাম পরিষদ দাবী আদায়ের পথে কাজ করে যাবে।

বিশ্বিবদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। যথাযথ পর্ষদে পাঠিয়ে দিবো।

এমআইটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!