পাঁচলাইশের ফ্ল্যাটে চাকরির টোপ ফেলে যৌনব্যবসা, ১০ নারী উদ্ধার

কুমিল্লা-বরিশাল-ঢাকার লোকও আছে চক্রে

চাকরি দেওয়ার নামে নারীদের আটকে রেখে নামানো হতো জোরপূর্বক যৌনব্যবসায়। কেউ আপত্তি জানালে চলতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার সামারহিল আবাসিক এলাকার একটি ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে চলছিল এ অসামাজিক কাজ।

গোপন সূত্রে অভিযোগ পেয়ে এই চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ওই ভবন থেকে ১০ নারীকেও উদ্ধার করা হয়।

গত ২১ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়েন্দা পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অসহায় মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে এ ভবনে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করতো চক্রটি। এমনকি কোনো মেয়ে এ কাজে অনাগ্রহ দেখালে তার ওপর চলতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

গ্রেপ্তাররা হলেন কুমিল্লার লাকসাম থানার মিয়াজি বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৫), বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানাধীন বেপারী বাড়ির মৃত জয়নাল বেপারীর ছেলে মো. লিটন (৪০), ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন মধ্যপাড়া এলাকার মৃত একরাম আলী খানের ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩৫), চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বড় দুয়ারা এলাকার মৃত আলী বকসুর ছেলে আবদুল খালেক (৩৬), কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার চানপাড়ার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. সেলিম (৩৭), চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানাধীন দক্ষিণ জোয়ারা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো.হারুন (৩৩) ও পটুয়াখালীর বাউফল থানার হাওলাদার বাড়ির জালাল আহমেদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৭)।

এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (এডমিন) মুক্তার হোসেন জানান, ‘সামারহিল আবাসিক এলাকার নাইম নামে এক ব্যক্তির দোতলা ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছিল। আমরা অভিযান চালিয়ে চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদেরকে আদলতে পাঠানো হয়েছে।’

এ চক্রে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!