পাঁচলাইশের ইবনে সিনা চিকিৎসা বর্জ্য ফেলে রাস্তায়, দখলে ফুটপাতও

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইবনে সিনা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ চিকিৎসা বর্জ্য সঠিক নিয়মে শোধন না করে সরাসরি সড়কেই ছুঁড়ে ফেলছে। এছাড়া সড়কে নির্মাণসামগ্রী রেখে দীর্ঘদিন ফুটপাত বেদখল করে রেখেছে— এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্রতিকার চেয়ে ফেসবুকে পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জ ২ নম্বর রোডের মুখে এমন বাজে আর্বজনা পড়ে থাকা দেখাটা খুবই দুঃখজনক।’

তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আজ সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তখন ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির সামনে দেখি এমন চিত্র। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনের ফুটপাতে সবসময় পড়ে থাকে এমন বর্জ্য। খুবই বাজে অবস্থা।’

শুধু চিকিৎসা বর্জ্যই নয়, ইবনে সিনা নামের ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জ সড়ক ঘেঁষে ফেলে রেখেছে বস্তাভর্তি নির্মাণ সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইবনে সিনার কাজের জন্য আনা হয়েছিল এসব নির্মাণ সামগ্রী। কাজ শেষেও এসব সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে সড়ক ও ফুটপাতে। ফলে সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে আগামীকাল (শনিবার) আমি নিজেই বিষয়টি তদারকি করবো।’

এ ব্যাপারে ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের জনসংযোগ কর্মকর্তা মামুন সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে ‘সকালে যোগাযোগ করেন’ বলে মোবাইল সংযোগ বলে বিচ্ছিন্ন করে দেন।

উল্লেখ্য, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের জনসংযোগ কর্মকর্তা মামুন সিদ্দিকীকে ২০১৮ সালে ২৩ জুন রাতে নগরীর স্টেশন রোডের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল সৈকতে এক অভিযানে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ঈদ পুনমির্লনী আয়োজনের নামে মোটেল সৈকত ভাড়া নিয়ে শিবিরের গোপন বৈঠক থেকে তাকেসহ শতাধিক শিবির নেতাকর্মীকে ওই সময় গ্রেপ্তার করা হয়।

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!