পশ্চিম বাকলিয়ার উপনির্বাচনে টিকে গেলেন ছয় প্রার্থীই, ইভিএমে ভোট ২৫ জুলাই

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে টিকে গেলেন ছয় প্রার্থীই। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জমা দেওয়া ছয়জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন। যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ছয়জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র ঘোষণা করেছেন। এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আগামী ২৫ জুলাই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে এই উপ-নির্বাচন।

মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া ছয় প্রার্থী হলেন একেএম আরিফুল ইসলাম, মো. শহীদুল আলম, মো. মাসুদ করিম, মোহাম্মদ শফি, সাহেদুল ইসলাম ও শেখ নাঈম উদ্দিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সবকটি মনোনয়নপত্রই বৈধ হয়েছে। আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহরের সুযোগ আছে। এর মধ্যে কেউ মনোয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে ১২ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। ইভিএমে এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে গত ২৭ জুন পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামী ১১ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১২ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে প্রার্থীদের।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ৪৯ হাজার ৮২৫ জন; এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৭৪৮ জন এবং নারী ভোটার ২৬ হাজার ৭৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৭টি এবং মোট ভোট কক্ষ ২২৪টি।

দীর্ঘদিন রোগে ভুগে গত ১৭ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে গত ২৪ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণাসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি দাপ্তরিকপত্র দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। এরপর ১২ জুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই তারিখে ওই ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর দাপ্তরিক পত্র দিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে মেয়র বা কোন কাউন্সিলরের পদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি সিটি করপোরেশনের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য ওই পদে বহাল থাকবেন।

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!