পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ব্যবসার মিশনে সন্ত্রাসীরা : নীরব থাকবে না প্রশাসন

কক্সবাজার প্রতিনিধি ॥
কিছুদিন পরই শুরু হচ্ছে পর্যটন মৌসুম। আর এই মৌসুমকে সামনে রেখে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা যেমন প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তেমনি মাদকসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ীরাও সক্রিয় হচ্ছে।

পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ব্যবসার মিশনে সন্ত্রাসীরা : নীরব থাকবে না প্রশাসন 1
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটন মৌসুমের ফাইল ছবি

পর্যটন মৌসুমে বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজারে লক্ষাধীক পর্যটক বেড়াতে আসে এবং শহরের চার শতাধীক হোটেলে প্রতিদিনই হাজরো পর্যটক অবস্থান করেন। এর মধ্যে অনেকে এখানে আসেন অবকাশ যাপনের জন্য আবার অনেকে আসেন মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমের মজা নিতে। তবে এসব অবৈধ কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত স্থানীয় কিছু যুবক যারা প্রতিনিয়ত হোটেল মোটেল জোন থেকে শুরু করে পুরো লাইট হাউস কলাতলীতে নিজেদের অবৈধ কাজগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।

 

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা পুরো এলাকায় দাপটের সাথে মাদকের রাজ্যে পরিনত করছে। এরা আবার বাহারছড়া এলাকার হওয়াতে ভয়ে স্থানীয়রা কিছু বলারও সাহস পাচ্ছে না।
একাধীক সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার যুবদল নেতা জয়নাল আবেদিন প্রকাশ লবন একই এলাকার মোঃ হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ছিনতায়কারী মনু বাহিনীর প্রধান মনু ও সাইফুদ্দিন খালেদ সুমনের নের্তৃত্বে আরো একটি গ্রুপ কাজগুলো করে যাচ্ছে। জয়নাল ও মনু দু’জন দুই গ্রুপের হলেও তারা ভাগ বাটোয়ারার সময় এক হয়ে যায়।
সূত্রমতে, লাইট হাউস থেকে দরিয়া নগর পর্যন্ত এলাকা জুড়ে বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমের মাস্টার প্লান করেন যুবদল নেতা জয়নাল আবেদিন। আর তার কিছু ছোট ভাইদের মাধ্যমে ইয়াবা চালান, ছিনতায়, জমি দখল, চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করান। অন্যদিকে মনুর রয়েছে নারি ব্যবসা, নারী ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল বয় দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে ইয়াবা পাঠানোসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সী-ইন পয়েন্টের এক ফ্রাই ফিস বিক্রেতা বলেন, এই এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপটি মাঝে মাঝে আমাদের কাছে চাঁদা আদায় করে, চাঁদা না দিলে আমাদের হুমকি দেয়। তিনি বলেন, জয়নাল ও মনুর একটি করে মাছের দোকান আছে মূলত এই দোকান লোক দেখানো দোকানের আড়ালে সে চালিয়ে যায় অবৈধ ব্যবসা ও সন্ত্রাসী মূলক কার্যক্রম।

 

হোটেল-মোটেল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসছে পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে ব্যপক চাঁদাবাজী ও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় কয়েকটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। এর মধ্যে জয়নাল আবেদিন, হেলাল উদ্দিন, মনু ও সুমনের নের্তৃত্বাধীন দল অন্যতম। এছাড়াও তাদের সাথে রয়েছে আরো বেশ কিছু ছোট-বড় সন্ত্রাসী দল।
জানা গেছে, এবারের পর্যটন মৌসুমে ইয়াবা, মাদক, নারীসহ বিভিন্ন অবৈধ কোটি টাকার ব্যবসার মিশন নিয়ে এগুচ্ছে স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ ক্ষেত্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, পর্যটন মৌসুম উপলক্ষে কিছুদিনের মধ্যে আমরা বৈঠকে বসবো যেখানে হোটেল মোটেল, রেস্তোঁরার মালিক, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্থারের ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবে। আর এই বৈঠক থেকে উঠে আসা বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রস্তাব আমরা আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করবো।

 

রিপোর্ট : এস এম আরোজ ফারুক, কক্সবাজার।

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!