পর্যটনের প্রশাসনিক কর্মকান্ডে স্থানীয়দের সংযুক্ত করতে হবে : অতিরিক্ত সচিব মোরশেদ

কক্সবাজার পর্যটনের প্রশাসনিক কর্মকান্ডে স্থানীয়দের সংযুক্ত করতে হবে : অতিরিক্ত সচিব মোরশেদ 1প্রতিনিধি : বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের (নিয়ন্ত্রক হোটেল ও রেস্তোরা) অতিরিক্ত সচিব সাইফুল্লাহ মকবুল মোরশেদ বলেছেন, কক্সবাজারের পর্যটনের সামগ্রমিক ও বৃহৎ উন্নয়ন করতে হলে পর্যটনের সব ধরণের প্রশাসনিক কর্মকা-ে স্থানীয় লোকজনকে সংযুক্ত করতে হবে। এর ফলে পর্যটন সমস্যার প্রকৃত সমাধান হবে এবং সম্ভাবনার দিক আরো উন্মোচিত হবে।

মঙ্গলবার রাতে “ট্যুর অপারেটস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার” (টুয়াক) কর্তৃক আয়োজিত ‘পর্যটন ভরা মৌসুমে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার: সংশ্লিষ্টদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। টুয়াকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও আহ্বায়ক এম.এ হাসিব বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভা পর্যটন মোটেল লাবনীতে অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আবদুর রহমান বলেন, ‘পর্যটনের উন্নয়নের জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পর্যটক আকর্ষণের জন্য সকল পর্যটন ব্যবসায়ীদের সমন্বিত অফার চালু করতে হবে। যেখানে একজন পর্যটক একসাথে সকল সুবিধা পায়। এটা হলে পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে। এই জন্য সব ভেদাভেদ ভুলে সকল পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহাম্মদ আলী জিন্নাত বলেন, ‘পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো অঘটন ঘটলে মিডিয়ায় তা ফলাও করে প্রচার হয়। এর ফলে পর্যটকরা ভয়ে পেয়ে কক্সবাজার বিমুখ হন। সাংবাদিকদের সাথে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সমন্বয় না থাকায় এমনটি হয়ে থাকে। এই সমস্যা উত্তোরণের জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করতে হবে।’ তিনি পর্যটন উন্নয়নে টুয়াকের ধারাবাহিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টুয়াকের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধরণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের পর্যটনের উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা তাঁকে সেভাবে সহযোগিতা করতে পারছি না। এর কারণ হলো সঠিক তথ্য-উপাত্ত আমরা তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারছি না। এক্ষেত্রে সী বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির ব্যর্থতা রয়েছে আমরা মনে করি।’ তিনি সী বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে টুয়াকসহ প্রকৃত পর্যটন ব্যবসায়ীদের অর্ন্তভুক্ত করার জোরালো আবেদন জানান।

বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও শৈবালের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া বলেন, ‘কক্সবাজারকে আধুনিক মানের পর্যটন নগরী ঘটতে হলে অনেক কিছু করতে হবে। তবে আশার কথা সেই সব করার উপযোগী কক্সবাজার। উদ্যোগ নিয়ে কাজগুলো করতে হবে।’

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ছদ্মবেসে সরকার বিরোধী অনেকে পর্যটন ব্যবসায় ডুকে পড়তেছে। তিনি ঐ সমস্ত ভুইফোঁড় সংগঠন ও ব্যক্তিদের প্রতিহত করার ঘোষনা প্রদান করেন। টুয়াকের এই ধরনের আয়োজনের জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমদ নোবেল বলেন, কক্সবাজারে পর্যটক সেবাখাতের কিছু ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে গাড়ি পার্কিং বড় সমস্যা। এই সমস্যা উত্তোরণের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে।

বীচ চেয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুুব রহমান বলেন- সমুদ্র সৈকতে পর্যটদের সকল সুবিধা দিতে তার সংগঠন সদা প্রস্তুত। তিনি সী বীচে বড় বড় ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগত ধরে রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ট্যুর প্লাস এর পরিচালক ইদ্রিস আলী, রাজধানী ট্যুরিজমের স্বত্তাধিকারী এস এ কাজল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ম্যাক্স এবং পরিচালনায় ছিলেন- সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ্ দৌলা (আশেক)। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি টুয়াক সদস্যদের মাঝে সনদপত্র ও আইডি কার্ড বিতরণ করেন টুয়াকের ওয়েব সাইট উম্মোচন করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!