পরিবহনে নৈরাজ্য/ চট্টগ্রামে ১ লাখ ২০ হাজার গাড়ি চলছে ফিটনেস ছাড়াই

ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮ যানবাহন চলাচল করছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন জমা দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বলছে এই যানবাহনগুলোর নিবন্ধন থাকলেও সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে।

গত ২৪ জুন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের প্রেক্ষিতে বিআরটিএর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

বিআরটিএর প্রতিবেদন অনুসারে, এই যানবাহনগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, রাজশাহী বিভাগে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫৮৮, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেট বিভাগে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাবিবুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে চট্টগ্রামে পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা বিরাজ করছে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রুট পারমিট ও রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বত্র বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। গাড়ির গ্লাস, লাইট, জানালা ভাঙা – এরপরও রাস্তায় ত্রুটিপূর্ণ এসব যানবাহন ট্রাফিক পুলিশের সামনে বাধাহীনভাবে চলাচল করছে। ত্রুটিপূর্ণ এসব গাড়ি কিভাবে সড়কে চলছে তার কোনো উত্তর মিলছে না।

ফিটনেসবিহীন এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, টেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস। তবে অটোরিকশা সবচেয়ে বেশি। অনেক অটোরিকশা ১৬-১৭ বছর অতিক্রম করেছে তবুও জোড়াতালি দিয়ে চলছে। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ট্রাক, মিনি ট্রাক, বাস, হিউম্যান হলার ও টেম্পো। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলছে লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে ১৪-১৫ বছর বয়সী কিশোর গণপরিবহনের গাড়ি চালাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে নগরীর হিউম্যান হলার ও টেম্পোতে কমবয়সী চালকের সংখ্যা বেশি।

চট্টগ্রামে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন এক ডজনের বেশি। বাস মালিকদের মধ্যে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৮ সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনগুলোই নানা কায়দায় এসব গাড়ি সড়কে নামাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএর কর্মকর্তারা।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!