পরিবর্তন হয়েছি বলেই অন্য দেশ আমাদেরকে সম্মান দিচ্ছে: মেয়র নাছির

আমাদের সবার মধ্যে সাম্য ও স্বপ্ন আছে। আমরা যে স্বপ্ন দেখি, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কর দিই। আজকে আমরা পরিবর্তন হয়েছি বলেই অন্য দেশ আমাদেরকে সম্মান দিতে শিখেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিটি মেয়র মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ মেলা চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে কর দেয়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। আমরা কর দিলেই দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে। আগে আমাদের দেশকে নিয়ে উন্নত দেশের মানুষ হাসি ঠাট্টা করতো, আমরা অকর্মা জাতি বলে অবহেলা করতো। এখন কিন্তু আমরা সম্মানের সাথে যেকোন দেশের সাথে কাধ মিলিয়ে চলতে পারি।

এ সম্মান অর্জন হয়েছে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ব্যবসায়ীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে।

মেয়র নাছির বলেন, কর দিলে কিন্তু কেউ গরীব হয় না। কর দিলে দেশ উন্নত হবে। সাথে সাথে আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নত হবে। আমাদের ধর্মেও হক আদায়ে কথা বলা হয়েছে। দেশের জন্য আপনার হক হলো আয়কর দেওয়া। যাদের সক্ষমতা আছে তারা এ হক আদায় করুন।

জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৭২ হাজার ৮৯৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা ও আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে), সম্পূরক শুল্ক (আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়), রপ্তানি শুল্ক ও টার্নওভার ট্যাক্সসহ সর্বমোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকা আদায় করেছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

এছাড়া চট্টগ্রামে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আয়কর আদায় হয়েছে ১১ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। আয়কর বিভাগের দৃঢ়বিশ্বাস এ বছর গত বছরের দ্বিগুণ আয়কর আদায় হবে।

এবারের আয়কর মেলায় করদাতারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবে- ২০১৯-২০২০ এর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। মেলায় ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল (আইডি ও পাসওয়ার্ড), বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিএ), কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল, সিনিয়র সিটিজেন ও প্রতিবন্ধী করদাতা, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর), উৎসে কর্তিত কর (টিডিএস), কর আপিল অঞ্চল, উইম্যান চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, কাস্টম হাউস, জাতীয় সঞ্চয় পরিদফতর, কর প্রশিক্ষণ ফোরামের, কর অঞ্চল, আপিল বিভাগসহ ৪৬টি বুথ রয়েছে।

Income-tax-fair-2019-2

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (কাস্টমস পলিসি ও আইসিটি) সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাটের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ, মো. ইকবাল হোসেন, মো. মাহবুব রহমান ও ব্যারিস্টার মুনতাকিন বিল্লাহ ফারুকী।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন পর্যায়ে সেরা ৩৮ করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে করদাতা, এক বছরে সর্বোচ্চ করদাতা, সর্বোচ্চ করদাতা নারী এবং ৪০ বছরের কম তরুণ করদাতা ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আরএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!