রাশেদা আক্তার (ছদ্ম নাম) বাসা-বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করাই তার পেশা। ২১ মে চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী মইজ্যারটেক যাওয়ার পথে গরমে মাথা চক্কর দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন হঠাৎ। পাশের যাত্রী ইলিয়াছ হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি থামিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে তাকে বাসায় পৌঁছে দেন। সেই সূত্রে দুজনের কথা হতো মাঝে মধ্যে। একে অপরকে সম্বোধন করতেন ভাই-বোন হিসেবে।
সম্পর্কের এক সপ্তাহের মাথায় ইলিয়াছ থেকে রাশেদা ৮০০ টাকা ধার নেন। ১২ জুন রাশেদা সেই টাকা ফেরত দিতে চাইলে ইলিয়াছ তাকে ব্রিজঘাট এলাকায় যেতে বলেন। ব্রিজঘাট এলাকায় পৌঁছালে রাশেদাকে ইলিয়াছ তার মায়ের বাসায় যেতে অনুরোধ করে। রাশেদাও রাজি হন। মায়ের বাসার কথা বলে ইলিয়াছ রাশেদাকে নিয়ে যায় কর্ণফুলী থানাধীন জুলধা ইউনিয়নের শুক্কুরের ইটের ভাটায়। পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে আরও তিনজন। এরপর ইটভাটার পরিত্যক্ত রান্নাঘরে নিয়ে পালাক্রমে রাশেদাকে ধর্ষণ করে ইলিয়াছ, ট্যাক্সিচালক ও তাদের অপর তিন সহযোগী।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাশেদা কর্ণফুলী থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাসূত্রে কর্ণফুলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ ধর্ষক হলেন ইলিয়াছ হোসেন, ইউনুস, জনাব আলী চঙ্কু, সেকান্দর ও কামাল উদ্দিন।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বুধবার রাতে ভিকটিমকে পাঁচ পাষণ্ড পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মেয়েটি বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা প্রযুক্তির সহায়তায় পাঁচ পাষণ্ডকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এফএম/সিপি