পতেঙ্গা-ইপিজেড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের সিএনজি, ৪ হাজারে মেলে ’রোড পারমিট’

নেই মেট্রো এলাকায় গাড়ি চালানোর নিবন্ধন, অধিকাংশ চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সও। তবুও চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা-ইপিজেড এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ৫০টিরও বেশি গ্রাম সিএনজি অটোরিকশা।

অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে চলছে বিআরটিএর গ্রাম নিবন্ধনযুক্ত সিএনজি অটোরিকশাগুলো। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি নামসর্বস্ব পত্রিকায় কর্মরত স্থানীয় কয়েকজন কথিত সাংবাদিকের নামেও চলছে এসব অটোরিকশা। মাসে মাত্র চার হাজার টাকায় মিলছে রোড পারমিট। ৫০টিরও বেশি সিএনজি অটোরিকশা চললেও নিবর রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর পতেঙ্গা থানার ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায় অবৈধ স্টেশন বানিয়ে চলছে গ্রাম সিএনজি অটোরিকশা। বেলাল নামের এক যুবক লাইনম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি ট্রিপে, প্রতি সিএনজি থেকে ১০ টাকা করে পাচ্ছেন লাইনম্যান বেলাল। শুধুমাত্র শাহ আমানত এয়ারপোর্ট, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় চলছে এসব গাড়ি।

এই গাড়িগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে লাইনম্যান বেলাল জানান, এখানকার অটোরিকশাগুলো যাত্রী নিয়ে শুধুমাত্র এয়ারপোর্টের ভেতরে ও পতেঙ্গা এলাকায় চলে। প্রায় ৫০টির মতো রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা।

কিভাবে গ্রাম সিএনজি নগরে চলাচল করছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যার গাড়ি সে নিয়ন্ত্রণ করছে। যাকে যেভাবে ম্যানেজ করে চালানো যায়, সেভাবে চলছে। বেশ কয়েকজন এলাকার সাংবাদিককে মাসে চার হাজার টাকা দিয়ে অনেক ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছেন। সাংবাদিকের গাড়ি বললে ট্রাফিক সার্জেন্ট ধরে না।

বেশ কয়েকজন চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পতেঙ্গা-ইপিজেডে গ্রাম সিএনজি রয়েছে অন্তত ৫০টির বেশি। দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিবেদক পারভেজ, দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার প্রতিবেদক বেলাল, দৈনিক সূর্যের আলো পত্রিকার ব্যুরো প্রধান সোহাগের নামেও বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা চলে এখানে।

চালকরা আরও জানান, সিএনজি ধরলে তাদের (সাংবাদিক) নাম বললেই ছেড়ে দেয়। এছাড়া এই এলাকায় অধিকাংশ গ্রাম সিএনজি চলছে ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক সদস্যকে টাকা দিয়ে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর এয়ারপোর্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) আবদুল রউফ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গ্রাম সিএনজি অটোরিকশা থেকে ট্রাফিক সার্জেন্টরা টাকা নেয় না। আমি ছুটিতে আছি, বিষয়টি এসেই দেখছি।’

গ্রাম সিএনজি চলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইপিজেড এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান রাজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গ্রাম সিএনজি থেকে ট্রাফিক সদস্যরা কোনো ধরনের টাকা নিচ্ছেন না। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!