পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের সড়ক খানাখন্দে বেহাল, আশ্বাস দিয়েই খালাস সিডিএ

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীতে এবার ২৮৩টি মণ্ডপে হচ্ছে পূজা। বুধবার (৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর পর অধিকাংশ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু পতেঙ্গা যাওয়ার সড়কের লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ। আর এতেই পুরো সড়কজুড়ে তৈরি ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। এসব খানাখন্দ মাড়িয়ে ট্রাকে করে প্রতিমা পতেঙ্গা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন দুর্গোৎসব কমিটির।

প্রতিমা ট্রাকে করে নেওয়ার সময় খানাখন্দে পড়ে ঝাঁকুনি খেলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও। পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) বলা হয়েছে রাস্তা সংস্কারের জন্য।

পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের সড়ক খানাখন্দে বেহাল, আশ্বাস দিয়েই খালাস সিডিএ 1

জানা গেছে, বিজয়া দশমীর সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে প্রায় ১২০-১৫০টি মণ্ডপের প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে। এসব প্রতিমা ও কমিটির লোকজন বহনকারী গাড়ির সংখ্যা ছোট-বড় মিলিয়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে চারশ’র মতো। প্রতিমা বিসর্জনে সহযোগিতায় থাকবে ইপিজেড ও পতেঙ্গার বিভিন্ন মন্দির কমিটির ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক।

রাস্তার দুরাবস্থা নিয়ে চান্দু সোহান নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘প্রতিদিন এমনিতেই ট্রাকে করে কাঁচাবাজার ইপিজেড থেকে পতেঙ্গায় নিতে কষ্ট হয়। যেমন যানজটের ভোগান্তি, তেমনি রাস্তা ভাঙা। এই ভাঙা রাস্তার বড় বড় গর্তের ওপর দিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া খুবই বিপজ্জনক। কোনো কারণে গাড়ি গর্তে পড়ে উনিশ-বিশ হলে প্রতিমা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারপরও কিছু করার নেই ,ভাড়া বেশি পেলে যাব পতেঙ্গায়।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পতেঙ্গা থানা শাখার সভাপতি সৈকত মহাজন সাজু বলেন, ‘বারিক বিল্ডিং থেকে সি-বিচ পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব গর্তের কারণে প্রতিমা বিসর্জনে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বিজয়া দশমীর আগে সড়ক মেরামত না হলে দুর্ঘটনা ঘটবে। সড়ক মেরামতের বিষয়ে আমরা সিডিএ, সাংসদ এমএ লতিফ, সিটি মেয়র ও পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি।’

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বারিক বিল্ডিং, বিশ্বরোড, নিমতলা, ইপিজেড, বন্দরটিলা এলাকায় সড়কের বেহাল দশা। প্রতিমা বিসর্জনের আগেই সড়ক মেরামতের বিষয়ে আমরা সিডিএ চেয়ারম্যন, সাংসদ এমএ লতিফ, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে জানিয়েছি। সিডিএ চেয়ারম্যন আমাদের সড়ক মেরামতের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী, ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি-বন্দর) শাকিলা সুলতানা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ বছর থেকে সব পূজামণ্ডপে স্থায়ী ডিউটি থাকবে। পূজামণ্ডপে এবং প্রতিমা বিসর্জনের দিন থানা পুলিশে পাশাপাশি মোবাইল ডিউটিও থাকবে। আমাদের দিক থেকে মণ্ডপগুলোকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপের বিষয়ে যদি কেউ আবেদন করে, আমরা সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়ন করবো।’

এসকেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!