পতেঙ্গায় জাহাজ কাটার গোপন চক্র হাতেনাতে ধরা, ৪ হোতার ডাক পড়েছে পরিবেশে

নেই কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র। বছরের পর বছর চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গা দখল করে ওই এলাকার একটি চক্র নিজস্ব ‘বাহিনী’কে পাহারায় রেখে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে জাহাজ কাটা ও মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণের নজর এড়াতে নদীর কিনারায় নোঙর করা লাইটার জাহাজের আড়ালে চলে কাটাকাটি ও মেরামতের কাজ। শুধু তাই নয়, রাতে কাজ করার সুবিধার্থে এই চক্রটি নদীর কিনারায় টেনেছে ১১ হাজার ভোল্টের বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক লাইন

ইয়ার্ডে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক সংযোগ।
ইয়ার্ডে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক সংযোগ।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা বিজয়নগর ঘাট এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পরিবেশর অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অবৈধভাবে জাহাজ কাটার অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীকে নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদফতর। আগামী ২০ অক্টোবর তাদেরকে শুনানির জন্য হাজির হতে বলা হয়েছে।

নোটিশ পাওয়া এই চার প্রতিষ্ঠানও তাদের মালিকরা হল এমভি সিফাতের দুই স্বত্ত্বাধিকারী জামালপুর জেলার মো. শাহীন ও বরিশাল জেলার মো. মনির, এমভি খাদিজা ও সাফিনের দুই স্বত্ত্বাধিকারী পতেঙ্গা থানার বিজয়নগর এলাকার মো. শাহাদাত ও লক্ষীপুর জেলার মো. হেলাল, এমভি সাইফুল সরকার দুই স্বত্ত্বাধিকারী পতেঙ্গা থানার বিজয়নগর এলাকার মো. মোজাম্মেল ও বরিশাল জেলার শহিদুল ইসলাম এবং ড্রেজার মেশিন পিএমএসের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদফতরের ইন্সপেক্টর (পতেঙ্গা-ইপিজেড) মো. আবুল মনছুর বলেন, ‘এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে পতেঙ্গা বিজয়নগর এলাকায় পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে জাহাজ কাটা ও মেরামতের কাজ করার অপরাধে চার প্রতিষ্ঠান ও মালিককে নোটিশ করা হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর তাদেরকে শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়।’

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট সকালে পতেঙ্গা থানার বিজয়নগর ঘাট এলাকায় অবৈধ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের একটি তেলের ভল্টগেট মেরামতের সময় বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সেখানে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া ছাড়াও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

মুআ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!