পতেঙ্গার খুনে দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার আব্দুল নবী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড, দুই আসামির যাবজ্জীবন ও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন বাদশা মিয়া (৫২) ও মহিউদ্দীন (৪১)। যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন— আব্দুল বারেক (৬১) ও হুমায়ুন কবির (৩৮)।

অনান্য দণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন সাইদুল হক, খায়রুল আলম, জেসমিন আক্তার ও লিপি আক্তার।

বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন দাস বলেন, ২০১৫ সালের ১৭ মে সন্ধ্যা ৭টার সময় পতেঙ্গা থানার কাঠগড় বাজারের পাশে ভূসম্পত্তি দথল নিয়ে প্রতিপক্ষের সংঘাতে আব্দুল নবীকে (২৬) হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই জাহিদুল আলম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১৮ মে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলার দায়রা নম্বর ০৪/০৬। ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন হয়। মামলার বিচারিক কাজ চলাকালীন সময়ে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

তিনি আরো বলেন, আব্দুল নবী হত্যার মামলায় বাদশা মিয়া ও মহিউদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আব্দুল বারেক ও হুমাইন কবিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাইদুল হক ও খায়রুল আলমকে তিন বছরে সশ্রম কারাদণ্ড ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। জেসমিন আক্তার ও লিপি আক্তারকে তিন মাসের কারাদণ্ড ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

৭ বছর মামলার বিচারকাজের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে চন্দন দাশ বলেন, কোভিড সিচ্যুয়েশনের কারণে মামলার রায় দিতে বিলম্ব হয়েছে। কোভিড শুরু হওয়ার আগেই মোটামুটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। মামলা রায়ে বাদি পক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি। তারা দীর্ঘদিন এমন একটি রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন— জানান অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শুভ প্রসাদ বিশ্বাস, জালাল উদ্দিন, এমএ ফয়েজ।

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!