পটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় তুলকালাম, কুপিয়ে জখম ১৫

চট্টগ্রামের পটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কচুয়াই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কালা মসজিদ এলাকায় নারীসহ ১১জনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে।

আহতরা হলেন শহীদুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া আকতার (২৫), ছামিউল্লাহ’র পুত্র গাড়ি চালক নুরুন্নবী (৪৫), মো. ওসমানের পুত্র মো. সাহেদ (২৭), মিয়া ফকিরের পুত্র আমানত উল্লাহ বাচা (৩২), আবু তালেবের পুত্র তৌহিদুল ইসলাম (২৮), জাফর উল্লাহ’র পুত্র আতাউল্লাহ (২৬), ফজল করিমের পুত্র আবদুর রহমান (১৬), নুরুল হকের পুত্র মোহাম্মদ মোরশেদ (৩২), দিদারুল ইসলামের পুত্র মো. রায়হান (১৫), মো. ছৈয়দের সোলেমান (৪৫) ও মো. নুরুন্নবীর পুত্র মো. সোহেল (২৭)। আহতদের পটিয়া হাসপাতাল থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনা ঘটে। মূলত সিএনজি চালক নুরুন্নবীকে একই এলাকার হাবিবুর রহমান প্রকাশ নাগুর পরিবারের লোকজন মারধরকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে পুনরায় মারামারির আশংকা রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সিএনজি চালক চালক নুরুন্নবী সকালে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা ‘ইট’ প্রস্তুপের সঙ্গে লাগে। এসময় বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সিএনজি চালক নুরুন্নবীকে হাবিবুর রহমান, সোলেমান, রহিম, ফোরকানসহ কয়েকজন বেদমভাবে প্রহার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে ধারালো দা ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ১১জনকে আহত করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ার কারণে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!