পটিয়ায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষক বন্ধুকযুদ্ধে নিহত

চট্টগ্রামের পটিয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ধর্ষণকারী আরমান (২৪) র‍্যাব-৭ এর সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত ২টায় উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মেহেরআটি গ্রামে বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি অস্ত্র, ৭ রাউন্ড গুলি এবং ৯টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার হয়।

পটিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই রাতে জিরি ইউনিয়নের মালিয়ারা গ্রামে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা পটিয়া থানায় ২০ জুলাই আরমান ও তার ছোট ভাই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ১৯ জুলাই আরমানের বিরুদ্ধে পটিয়া উপজেলার ঝিরি ইউনিয়নের মালিয়ারা গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ছিল।

মঙ্গলবার রাত ২ টায় আমাদের টহল টিম নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে ধর্ষক অস্ত্র, গুলি নিয়ে অবস্থান করছে। অভিযানে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনীরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের উদ্দ্যেশ্য গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। পরে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে এবং গুলিবিনিময় থেমে গেলে সেখান থেকে আরমানের গুলিবিদ্ধ মরদেহ, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। একই ঘটনায় অভিযুক্ত আরমানের ভাই ইমরান পলাতক রয়েছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ১৯ জুলাই। ভিকটিমের পরিবার ২০ জুলাই ধর্ষক আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আরমানের মরদেহ, অস্ত্র ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করি। ধর্ষকের মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

শারমিন/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!