লকডাউনে আদালতে বিচারাধীন ভূমি দখলে নিতে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে মামলার বিবাদিপক্ষ। ওই বিবদমান ভূমিতে কোন রকমের স্থাপনা নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি অমান্য করে জবর দখলের চেষ্টা করে মামলার অপরপক্ষ মো. জাহাংগীর। পুলিশ বাধা দিতে এলে পুলিশের সাথেও বাকবিতণ্ডায় জড়ায় তারা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মুচলেকা নেয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) পটিয়া থানাহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পুলিশকে গালমন্দ করা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় পটিয়া থানার এস আই বোরহান উদ্দীন এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
ভূমি বিষয়ক ওই অভিযোগ থেকে জানা যায়, পটিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের থানা হাটের উত্তর পাশে আকতার হোসেনের সাথে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা দায়ের করেন আকতার হোসেন। উক্ত মামলায় আদালত নালিশি জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংস্কারসহ সকল প্রকার কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেন। প্রতিপক্ষরা আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে ওই ভূমিতে সেমি পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে।
অন্যদিকে এ নির্মাণে পটিয়া পৌরসভার অনুমোদনও নেয়নি বিবাদিরা। এ ঘটনায় সহকারী প্রকৌশলী স্বাক্ষর করে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গত ২৮ জুন নোটিশ জারি করে পটিয়া পৌরসভা। ওই নোটিশের বিষয়ে পটিয়া পৌরসভার মেয়র, পটিয়া থানার ওসি, স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাদি আকতার হোসেনকেও অবহিত করা হয়।
এ ব্যাপারে বাদি আকতার হোসেন বলেন, আমার কেনা ভূমি জোর করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে আমি বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা আমার উপর হামলা চালায়। এমনকী তারা পুলিশকেও গালিগালাজ করে।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক বোরহান উদ্দীন বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে আমরা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ জারি করেছি। পরে আদেশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় বিবাদিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরও গালিগালাজ করতে থাকে। পরে কোন রকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরবর্তীতে ধরনের নির্মাণ কাজ না করার লিখিত মুচলেকা নিয়েছি তাদের কাছ থেকে।
এসএস