পটিয়ায় নিহত বৃদ্ধের দাফন হল ময়নাতদন্ত ছাড়াই, মামলা করেনি পরিবার

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাদ্রাসার নামকরণ নিয়ে শুক্রবার হাতাহাতির সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া রুহুল আমিনের পরিবার কোনো মামলা দায়ের করেনি।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জানাজা শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লাপাড়া আহমদিয়া রহমানিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন ও মালিকানা কার হাতে থাকবে এ দিয়ে দু’পক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর একটি শালিসি বৈঠকের কথাও ছিল এ বিষয়ে। কিন্তু তার আগেই একইদিন সকাল ১১টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এ সময় মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা রুহুল আমিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে পটিয়ায় একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুহুল আমিন আশিয়া মল্লাপাড়ার মৃত শফিউর রহমান চৌধুরীর ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারিক রহমান বলেন, ‘আশিয়া মল্লাপাড়া এলাকায় একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসার মালিকানা নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে থাকবে এ নিয়ে অনেকদিন যাবৎ দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরে আসছিল। শুক্রবার সকালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি শুক্রবার সকালে এনিয়ে এলাকার লোকজন কথা-কাটাকাটির সময় রুহুল আমিন উত্তেজিত হয়ে গেলে সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। সেসময় তাতে কেউ ধাক্কা কিংবা মারেনি। আমরা তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি সে দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। এছাড়াও সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরিরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কোন অভিযোগ ও করা হয়নি।’

আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম বলেন, ‘এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর হতে আমি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয় দফায় দফায় বৈঠক করি। মারা যাওয়া রুহুল আমিনের পরিবারের পক্ষ হতে কোন ধরনের অভিযোগ না থাকাতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শনিবার সকালে দাফনকাফন সম্পন্ন করেছি। তবে বিরোধপূর্ণ মাদ্রাসাটির ব্যাপারে আমরা শনিবার আবারো বসে শান্তিপূর্ণ একটা সমাধানের চেষ্টা করবো।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!