পটিয়ায় নমুনা সংগ্রহকারীদের পরিবারেও করোনার হানা, আক্রান্ত ৪

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের পরিবারের শিশুসহ ৪ সদস্যের শরীরে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। ওই দুজন টেকনোলজিস্টের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। তারা এলাকায় নমুনা সংগ্রহের কাজে ন্যস্ত ছিলেন। ওই মাধ্যমেই তাদের পরিবারে করোনার সংক্রমণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জরুরি বিভাগ ছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় বহিরাগত সর্বসাধারণের প্রবেশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের করোনা র‌্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করে। ওই টিমের অধীনেই রোগীদের নমুনা সংগ্রহের কাজ করতো হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। এর আগে তারা অনেক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সেখান থেকেই তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনায় সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ সকল বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে করোনা আক্রান্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের পরিবারে শনাক্ত হওয়া সদস্যদের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসলোশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে।

গত ৯ মে র‌্যাপিড টিমের সদস্যদের পরিবারের ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ২ টেকনোলজিস্টের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দুইজন শিশুসহ চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ। তাদের মধ্যে একজনের বাবা ও তিন বছর বয়সী শিশু আক্রান্ত। অন্য দুজন হলেন স্বাস্থ্য সহকারীর স্ত্রী ও ১৩ মাস বয়সী শিশু।

প্রসংগত, টেকনোলজিস্টরা পরিবার পরিজনদের নিয়ে হাসপাতালের আবাসিক ভবনে বসবাস করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাবেদ জানান, ‘মানবিক দিক বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় জরুরি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের পরিবারের আক্রান্ত সদস্যরা মেডিকেলের আবাসিক ভবনে হোম আইসোলেশনে থাকবে। তাদের ভবনটি লকডাউন করা হবে।’

এদিকে হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের পরিবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরপরই জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বহিঃবিভাগ ও ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও আতঙ্কে রোগীরা আসতে চাইছে না। হাসপাতাল এলাকায়ও বহিরাগতদের প্রবেশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!