পটিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

চট্টগ্রামের পটিয়ায় জেসমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ এলাকায় নিজ ঘর থেকে জেসমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, জেসমিন আত্মহত্যা করেছে।

তবে নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান তার বোনকে স্বামী নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর পুলিশ জেসমিনের স্বামী বদিউল আলমকে আটক করেছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। জেসমিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

নিহতের বোন তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘আমার বোনকে প্রায় সময় স্বামী মারধর করতো। মারা যাওয়ার আগের দিনও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও আমার বোন মারধর সইতে না পেরে খালার বাড়িতে চলে যায়। আজ মৃত্যুর খবর শুনে বোনের শ্বশুর বাড়িতে গেলে সেখানে তার স্বামী আমাকে দেখে বলে তোর বোনকে আমি মেরে ফেলেছি। তুই আমাকে কি করতে পারবি?

জানা গেছে, গত ২০০৫ সালে শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ এলাকার বদিউল আলমের সঙ্গে উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়ন এলাকার জেসমিন আক্তারের বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ৪ মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জেসমিনকে বদিউল আলম বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!