পটিয়ায় চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামের পটিয়ায় গরু উদ্ধার ও চোরের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আল্ ওয়ালী এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আহমদুল হক আনোয়ার। বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে পটিয়ার একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ।

এতে লিখিত বক্তব্যে আহমদুল হক আনোয়ার বলেন, আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে পটিয়ার জিরি ইউনিয়নে তাদের খামারে গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে ২৩টি ষাড় গরু তুলেন। তারা আনোয়ারার বরুমছড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের কাছ থেকে নগদ ও বাকীতে (২৫ মে) ১৪টি গরু ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তিতে ক্রয় করেন। এরমধ্যে ১০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু গত ঈদের আগের দিন আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে না পারায় আবদুর রাজ্জাকের ছেলে সাহেদের সঙ্গে খামারিদের বাকবিতণ্ডা হয়। ঈদের পরের দিন রাতেই খামারের ১২ লাখ টাকার মূল্যের ছয়টি ষাড় গরু চুরি হয়। বিষয়টি খামারিরা থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ নৈশপ্রহরী মো. ইসহাককে আটক করে। নৈশপ্রহরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে রাতে ছয়টি গরু আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে নৈশপ্রহরী ইসহাক ও গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ কারাগারে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পটিয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। গত একমাসে বিভিন্ন কৌশলে গরু চুরির ঘটনায় ১০ জন চোর গ্রেপ্তার ও চারটি গরু পুলিশ উদ্ধার করেছে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় গরু চোরেরা বাঁচতে এখন নানা কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। তাদের খামার থেকে গরু চুরি হলেও তা এখনো উদ্ধার হয়নি। বর্তমানে দুই আসামি কারাগারে রয়েছেন। চোরদের গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া গরুগুলো উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আল ওয়ালী খামারের অংশীদার এসএম হারুনুর রশিদ, ছৈয়দ মো. ফয়সাল ও তারেক হোসেন।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘গরু চুরির পর থানায় কারো নাম ছাড়া একটি অভিযোগ করা হয়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নৈশপ্রহরীকে আটক করি এবং জিজ্ঞাসাবাদে চোর সনাক্ত করা হয়। বর্তমানে নৈশপ্রহরী ও গরু ব্যবসায়ীর পুত্র কারাগারে রয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!