পটিয়ার শেয়ানপাড়ায় ঢোকা মানা, বেরুনোও মানা

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার শেয়ানপাড়ার একটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। চট্টগ্রামের দামপাড়ায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির এক মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ওই স্থানে। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু এলাকাবাসী নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে গোটা শেয়ানপাড়া এলাকা লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে সাতকানিয়ার পুরানগড়ে আরেক মেয়ের শ্বশুরবাড়ি শুক্রবার রাতে লকডাউন করা হয়।

এ বিষয়ে পটিয়া ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেয়ানপাড়ার একটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। ওই এলাকা পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং নির্বাহ ম্যাজিস্ট্রেট মনিটরিং করছে।’

পটিয়ার শেয়ানপাড়ায় ঢোকা মানা, বেরুনোও মানা 1

জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের শেয়ানপাড়ায় চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ার করোনা আক্রান্ত মেয়ের শ্বশুর বাড়ি। বেয়াই অসুস্থ থাকায় শেয়ানপাড়া থেকে মেয়ের শ্বশুর দামপাড়ার বাসায় গত ২৩ মার্চ দেখতে যান। শুক্রবার রাতে ওই অসুস্থ ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শেয়ানপাড়ার বাড়িটিকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্থানীয়রা পুরো পাড়া লকডাউন করার ঘোষণা দেয়।

চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোফরান রানা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শেয়ানপাড়ায় উপজেলা প্রসাশন একটি বাড়ি ও এলাকাটির কিছু অংশ লকডাউন করেছে। এতে আমাদের গ্রামে চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে স্থানীয় যুবসমাজের উদ্যোগে আমরা শেয়ানপাড়া গ্রামই লকডাউন করেছি।’

পটিয়ার শেয়ানপাড়ায় ঢোকা মানা, বেরুনোও মানা 2

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার চার নম্বর ওয়াডের শেয়ানপাড়ার প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। ব্যারিকেডের বাঁশের ওপর প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা। এতে লেখা রয়েছে, ‘লকডাউন চলছে, নিজে বাঁচুন, অন্যকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিন।’ এলাকাটিতে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আবার কাউকে বেরও হতে দেওয়া হচ্ছে না। লকডাউন করা এলাকার লোকজনদের দশ দিনের খাবার সরবরাহ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে পটিয়ার খরনা ইউনিয়ন থেকেও কয়েকজন আত্মীয় তাদের বাসায় গিয়েছিলেন। তাই প্রশাসন খরনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফকির পাড়ার একটি পরিবারকে ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!