পটিয়ার থানার সেই বিতর্কিত এসআই ক্লোজড

পটিয়ার থানার সেই বিতর্কিত এসআই ক্লোজড 1পটিয়া প্রতিনিধি : নিরীহ মানুষ ধরে এনে হত্যা মামলায় চালান ও পরবর্তীতে পিতা-পুত্রের লোমহর্ষ মৃত্যুর ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে পটিয়া থানার বির্তকিত এসআই কুতুব উদ্দিনকে অবশেষে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। সোমবার সকালে সে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযোগ দেয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে তাকে প্রশাসনিক জটিলার ইস্যুতে প্রত্যাহার করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, এসআই কুতুব শিক্ষানবিশ হিসেবে ২০১২ সালে পটিয়া থানায় যোগদান করেন। প্রমোশন পেয়েও সে দীর্ঘ ৫ বছর পটিয়া থানা ছাড়েনি। ৫ বছরে তাকে ৫বার বদলী করা হয়। কিন্তু প্রতিবারেই অর্থের বিনিময়ে সে বদলী ঠেকিয়ে দেন। তাছাড়া প্রতিদিন এলাকার নিরীহ মানুষ ধরে এনে বাণিজ্য, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, জায়গা দখল-বেদখল করে দেওয়া, মদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজসসহ তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামের ডুয়ারপাড়া এলাকায় এসআই কুতুবের কারণে পিতা-পুত্রের লোমহর্ষ মৃত্যুর ঘটনা ও হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনে হতম্ভব হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়া। মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তাহমিনা বেগম এসআই কুতুবের অভিযোগ তদন্ত করতে পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানান। এর আলোকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়া গত রবিবার সকালে পটিয়া থানায় এসে তদন্ত কাজ শুরু করেন। বিনা কারণে উপজেলার রহিম বাদশাকে আটক করে একটি হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। বিনা কারণে জেলে থাকায় পিতা আবু ছিদ্দিক হার্টস্ট্রোক করে মারা যায়। তখন ছেলে রহিম বাদশা জেলে ছিল। পরবর্তীতে ছেলে জেল থেকে বেরুলে পিতা হার্টস্ট্রোকে মারা যাওয়ার খবরে পেয়ে সে নিজেও আত্মহত্যা জীবনের ইতি টানে। নিরীহ পরিবারটিকে পুলিশ ভয়ভীতি দেখানোর কারণে কোন অভিযোগ করেনি। একইভাবে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার পটিয়া প্রতিনিধি আবেদুজ্জামান আমিরীকে একটি যৌন শূড়শূড়ি মামলায় এসআই কুতুব নানাভাবে হয়রানি করে। ওই মামলার বাদী, স্বাক্ষীকে এসআই কুতুব চিনতেন না। অথচ আদালতে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে হয়রানি করে। অবশ্যই পরবর্তীতে মামলার বাদী ওই মহিলা আদালতে হলফনামামূলে বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, প্রশাসনিক কারণে এসআই কুতুবকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে যোগ দেওয়ার জন্য বলেছেন। তিনি (ওসি) যোগদানের পর থেকে পটিয়া থানায় হয়রানি কমেছে। কোন পুলিশ অফিসার নিরীহ কাউকে ধরে এনে হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!