পটিয়ার ছনহরার প্রার্থী রাসেলের ভাগ্য নির্ধারণ সোমবার

আবারও আইনি জটিলতায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের উপনিবার্চন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের প্রার্থীতা বাতিল নাকি নির্বাচন পেছাবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

সোমবার (১৩ জুন) আদালত রাসেলের প্রার্থীতা নিয়ে পুনঃশুনানির দিন ধার্য করেছে।

ছনহরা ইউনিয়নের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী, মো. জাহেদুল হক ও সাহাব উদ্দিন।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেল গত ১৭ মে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। ১৯ মে তার মনোনয়ন উপজেলা রিটার্নি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ঋণখেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল হয়। এরপর ২২ মে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপিলের শুনানিতেও রাসেলের প্রার্থীতা বাতিল আদেশ বহাল রাখেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাসেল হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ২৫ মে রিট পিটিশনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রাসেলের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করলে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পান। এরপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করলে গত ২৯ মে শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিচারের জন্য ১৩ জুন পুনঃশুনানির দিন ধার্য করেন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ক্রেডিট কার্ডের ঋণখেলাপি দেখিয়ে আমার প্রার্থীতা বাতিল করার পর আমি সব টাকা পেমেন্ট করেছি। এমনকি পরে কার্ডটিও বন্ধ করে দিয়েছি। উচ্চ আদালত আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর করা চেম্বার জজ আদালত কিসের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আমার প্রার্থীতা স্থগিত করেছেন? আমিও আইনিভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছি। আশা করছি সোমবার আমি আমার প্রার্থীতা ফিরে পাব। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এলাকায় প্রচারণা পর্যন্ত বন্ধ রেখেছি আমি।’

পটিয়া উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, ‘উপনিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তবে উচ্চ আদালতের আইনি জটিলতার বিষয়টি সোমবার সুরাহা হতে পারে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!