পছন্দের সিটে বসতে না দেওয়ায় শিক্ষিকাকে পাথর মারল পরীক্ষার্থী, ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত

পরীক্ষা কেন্দ্রে বসার স্থান নিয়ে দায়িত্বরত শিক্ষিকার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এক পরীক্ষার্থীর। পরে বাধ্য হয়েই পরীক্ষকের দেখানো স্থানে বসে পরীক্ষা দিতে হয় তাকে। এতে ক্ষোভে সেই পরীক্ষককে পাথর ছুঁড়ে মারেন ওই ছাত্র।

এমনই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিরাবাদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে । এতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩১জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটলেও জানাজানি হয় বুধবার।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মো. মারুফ হাসান ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজের (এনপিসি) মেকানিক্যাল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কয়েকটি কলেজের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছাত্রদের চূড়ান্ত পরীক্ষা কেন্দ্র পড়ে। সেখানে পরীক্ষা দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটান মারুফ।

জানা গেছে, এনপিসি থেকে ৩১ শিক্ষার্থী পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিতে ৩০১ নম্বর কক্ষে যান। এ সময় ওই রুমে এনপিসির শিক্ষার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে বসলেও হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা সুপ্তিকণা দেবীর নির্দেশে সকলে নির্দিষ্ট আসনে বসে। কিন্তু মারুফ নির্ধারিত সিটে বসতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে শিক্ষিকা সুপ্তিকণার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি।

পরে নির্দিষ্টস্থানে বসে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হলেও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মারুফ একাধিকবার অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ দেন সুপ্তিকণা দেবী।

সুপ্তিকণা জানান, পরীক্ষার শেষে দুপুর ২টার দিকে বাসায় যাওয়ার সময় তাকে উদ্দেশ্যে করে একটি পাথরের টুকরো ছুঁড়ে মারেন মারুফ। পাথরটি গলার নিচ থেকে কলারবোনে আঘাত করে এবং পরক্ষণেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের চাপে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চান মারুফ।

স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ লুৎফর রহমাস বরাবর অভিযোগ দেন ওই শিক্ষিকা। পরে ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর বিষয়টি জানানো হলে, তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!