পচে যাওয়া পণ্য ধ্বংসের জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না চট্টগ্রামের কাস্টমস

৬৫০০ মেট্রিক টন পণ্য পচে আছে ৩০০ কনটেইনারে

বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্য ধ্বংসের পর এবার পচনশীল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করতে যাচ্ছে কাস্টমস হাউস। তবে এর জন্য মিলছে না উপযুক্ত কোনো জায়গা। এর মধ্যে ৩০০ কন্টেইনারে পচনশীল পণ্য রয়েছে ৬৫০০ মেট্রিক টন। এদিকে ২০ জানুয়ারি (বুধবার) ১৯টি লটে ই-অকশনে ১১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের বিশেষ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৬৫টি লটে এসব পচনশীল দ্রব্য ধ্বংস করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করে কাস্টমস হাউস। আবেদনের পর পরিবেশ অধিদপ্তর নগরের বন্দর থানাধীন আনন্দবাজারে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্থানে ধ্বংসের অনুমতি দেয়। কিন্তু ওই স্থানে কনটেইনার ধ্বংস করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বিকল্প স্থান খুঁজছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

পরে শিপিং এজেন্টদের মনোনীত হালিশহরের একটি উন্মুক্ত স্থানে উক্ত পণ্যগুলো ধ্বংসের অনুমতি চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে চিঠি দিয়েছে কাস্টমসের নিলাম শাখা। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘সিটি করপোরেশনের আর্বজনাগারে জায়গা খুবই সরু। তাই এখানে ৪০ ফুটের কনটেইনারগুলো নেওয়ার রাস্তা সংকুলান হবে না। এ সমস্যার কারণে আমরা ওখানে ধ্বংস করতে পারছি না।’

তিনি জানান, ‘বিষয়টি আমরা শিপিং এজেন্টদের নলেজে দিয়েছি। তাই তারা বিকল্প একটি জায়গা শনাক্ত করে দিয়েছে, সেটি হলো হালিশহরে। ওই স্থানে ধ্বংসের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের চিঠির জবাব এখনও পাইনি, তাই অপেক্ষায় আছি। আশা করি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি পাবো।’

জানা গেছে, কাস্টমস হাউস এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ৪৯ হাজার কেজি বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংস করেছে সুনামগঞ্জের লাফার্জ হোলসিমের কারখানায়। এর ধারাবাহিকতায় এবার ৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পণ্য ধ্বংস করা হবে চট্টগ্রামেই। যেখানে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ রসুন, আদা, আপেল কমলাসহ বিভিন্ন ফল ও পচনশীল পণ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম নগরের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কাস্টমস হাউস জায়গা ঠিক করে দিলে আমরা গিয়ে পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবো। কিন্তু জায়গা তো দিতে হবে সিটি করপোরেশনকে। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের অনুমতির দরকারও আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের অনুমতিসাপেক্ষে আমাদের কাছে চিঠি পাঠালে সেটি আমরা ভেবে দেখবো।’

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!