‘ন ডরাই’ পেল সেন্সর, আপত্তি নেই চট্টগ্রামের ভাষায়

শেষপর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়ে গেল চট্টগ্রামের ভাষায় সার্ফিং নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড রোববার (২৫ নভেম্বর) ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্টার সিনেপ্লেক্সকে সনদ দিয়েছে। এর ফলে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আগের সময় অনুযায়ীই মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। এর আগেই অবশ্য চলতি বছরের শুরুর দিকে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর ছবিটি দেখার পর সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও সংলাপ নিয়ে জানিয়েছিলেন আপত্তি। ‘ন ডরাই’ নামের সিনেমাটি তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। ‘আপত্তিকর’ আঞ্চলিক ভাষার এই সংলাপে সংশোধনী না আনলে ছবিটিকে সেন্সর সনদ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল সেন্সর বোর্ড।

চট্টগ্রামের ভাষায় আপত্তি কোথায়— সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর বলেছেন, ‘‘ন ডরাই’ অসাধারণ একটি সিনেমা। কিন্তু ছবির সংলাপে আমাদের কিছু আপত্তি রয়েছে। এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। চট্টগ্রামের ভাষায় এমন কিছু সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে যা দেশের অন্যান্য জেলার লোকদের কাছে অশ্লীল, আপত্তিকর মনে হতে পারে। বিষয়টি এমন যে— এক দেশের বুলি, আরেক দেশের গালি।’’

জানা গেছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংলাপে সংশোধনী আনা হলে সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে সনদ দেয়।

‘ন ডরাই’— সার্ফিং নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সাঈদ বাবু, জোসেফাইন লিন্ডেগার্ড প্রমুখ। একজন নারী সার্ফারের জীবন নিয়ে তৈরি ছবিটির গল্প গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। এর প্রায় সব দৃশ্যধারণই হয়েছে কক্সবাজারে। প্রায় সব সংলাপই চট্টগ্রামের ভাষায়। তবে নির্মাতারা জানিয়েছেন, এমনভাবে চট্টগ্রামের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সেটা বুঝতে সমস্যা হবে না।

ছবিটির প্রযোজক স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!