ন্যাশনাল বিডি-স্টেম প্রতিযোগিতায় চুয়েটের সাফল্য

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর চুয়েট চেকমেট-১৯ শীর্ষক একটি দল বাংলাদেশ সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথেম্যাটিকস (STEM) ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘ন্যাশনাল বিডি-স্টিম প্রতিযোগিতা-২০২১’ এ সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় রানার-আপ নির্বাচিত হয়েছে। গত রবিবার বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

সোমবার বিকাল ৩টায় বিজয়ী দলটি চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দলের সুপারভাইজার ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী উপস্থিত ছিলেন।

ন্যাশনাল বিডি-স্টেম প্রতিযোগিতায় চুয়েটের সাফল্য 1

বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ‘১৯-২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানযীম তাহমীদ রেজা ও তাইয়্যিবা বুশরা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৯-২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জোহায়ের মাহতাব এবং ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী কাশফি উদ্দিন।

এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৩৮টি দল অংশগ্রহণ করে। গত রবিবার ঢাকায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরষ্কার হিসেবে দলটি সনদপত্র এবং ৭৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।

সাক্ষাৎকালে চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বিজয়ী দলের এটি একটি সৃজনশীল কাজ। তাই দলের সকল সদস্য ও সুপারভাইজারকে অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে আগামীতেও এ ধরনের সৃজনশীল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চুয়েটের ভাবমূর্তি ও সম্মানকে তুলে ধরা হবে- এমনটিই প্রত্যাশা।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ স্বীকৃত টেকসই উন্নয়নসূচক (SDG) এর ১১ নম্বর সূচক নিয়ে প্রতিযোগিতায় উপস্থাপিত চুয়েট দলের প্রজেক্টের শিরোনাম ছিলো-Developed Model with Integrated Project for Sustainable Cities & Communities.।

দলটির সদস্যরা জানান, তাদের প্রজেক্টটি মূলত কোনো একটি জায়গার ইন্ডোর এবং আউটডোর উভয়ই রক্ষা করতে কার্যকরী। যার নাম ফায়ার অ্যালার্ট ও ডিটেকশন টুলস (Fire Alert & Detection Tool (FADT)। এটি ঘরের মধ্যে গ্যাস লিকেজ হলে, ধোয়া পেলে বা আগুন ধরলে সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টুলের মালিক ও নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসকে কল বা এসএমএস দিয়ে দিবে। এই যন্ত্রটি একই সাথে তিনটি কাজ করে থাকে। এরকম যন্ত্র এখন পর্যন্ত বর্তমানে দেশের বাজারে নেই। এই টুলটি ঘরে লাগালে মেইনটেন্যান্স খরচও নেই তেমন— শুধু ব্যাটারি বদলানো ছাড়া।

দ্বিতীয় প্রজেক্টটি ছিল ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি সিস্টেম (Integrated Transport Security System)। যেখানে লাইসেন্স প্লেট ডিটেকশন ও যানবাহনের স্পিড নির্ণয় করা যায়। কোনো জায়গায় সার্ভেইলেন্স ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার বেজড কাজ সম্পন্ন করা গেলে সহজেই যানবাহন চুরি ও হাইওয়েতে ডাকাতি কমানো সম্ভব হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!