নৌ-পুলিশের অভিযান: জুলাই মাসে ৬৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার

অভিযান চালিয়ে গত জুলাই মাসে মোট ৩ লাখ ৩ হাজার ৮০০ বর্গমিটার নিষিদ্ধ জাল ১৪১ কেজি মাছ এবং ১৬ বৈধ কাগজপত্র বিহীন নৌকা উদ্ধার করে জব্দ করেছে নৌ পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চল। উদ্ধারকৃত মালামালের মূল্য ৬৩ কোটি ৮ লাখ ৮৫০ টাকা।

জানা যায়, নৌ-পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রামের অর্গানোগ্রামে একটি নৌ-থানা ও ১৫ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি নৌ-থানা ও ছয়টি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি চালু আছে। নৌ-থানা ও ফাঁড়িসমূহ সীমিত জনবল ও জলযান ব্যবহার করে স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রের নদীপথে অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে চট্টগ্রাম নৌ-পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত জুলাই মাসে সদরঘাট নৌ-থানা ১২ হাজার বর্গমিটার নিষিদ্ধ জাল, বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ১ লাখ বর্গমিটার নিষিদ্ধ জাল, মাতারবাড়ি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ৬৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার নিষিদ্ধ জাল, নিঝুম দ্বীপ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ৩ হাজার ৫০০ বর্গমিটার নিষিদ্ধ জাল, নলচিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ১১ হাজার ৭০০ বর্গমিটার নিষিদ্ধ জাল, রাঙ্গামাটি সদর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ১ লাখ ১৩ হাজার বর্গমিটার নিষিদ্ধ জাল, ১৪১ কেজি মাছ এবং ১৬ বৈধ কাগজপত্রবিহীন নৌকা উদ্ধার করে।

এছাড়াও গত ২৫ জুলাই থেকে ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ‘গণসচেতনতা সপ্তাহ’ উপলক্ষে নৌ পুলিশ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল থানা/ফাঁড়ি স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রের মসজিদ, নৌঘাট, ফিশারিঘাট, নদীর তীরবর্তী হাটবাজার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় গুজববিরোধী সভা সমাবেশের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে এবং লিফলেট বিতরণ করে এলাকার লোকজনদের সাম্প্রতিক ছেলেধরা গুজবের বিষয়ে সচেতন করে।

সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম উল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে আমরা বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করে থাকি। অবৈধ নৌকা আটক করি, নৌপথে অবৈধ পার্কিং করলে জরিমানা আদায় করি।’

নৌ-পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মরতুজা আকী খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নৌ-পথে অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে থাকি। টহলও দিয়ে থাকি নিয়মিত। অভিযানে অবৈধ জাল, বোট, জাটকা মাছ আটক করা হয়। নৌ-পথে চলাচলে দুর্ঘটনা ও ছিনতাই রোধেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। তবে আমাদের জলবল ও জলযান সংকট আছে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!