নৌবাহিনীর বহরে নতুন দুই যুদ্ধজাহাজ, উড়বে হেলিকপ্টারও

‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজের বহরে যুক্ত হল দুটি নতুন জাহাজ ‘সংগ্রাম’ ও ‘প্রত্যাশা’। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জাহাজ দুটি চীন থেকে চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে এসে পৌঁছায়। জাহাজ দুটিকে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবু আশরাফ। এ উপলক্ষে নেভাল জেটিতে নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিপুলসংখ্যক নাবিক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নবনির্মিত জাহাজ বানৌজা সংগ্রাম ও বানৌজা প্রত্যাশার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার এবং প্রস্থ ১১ মিটার। জাহাজ দুটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। শত্রুবিমান, জাহাজ এবং স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম জাহাজ দুটি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কামান; ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল; অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত।

bangladesh-navy-warship

জাহাজ দুটিতে হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিংসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। গভীর সমুদ্রে দীর্ঘসময়ব্যাপী মোতায়েনযোগ্য এ জাহাজ দুটির মাধ্যমে বিশাল সমুদ্র এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও জলদস্যুতা রোধ, সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, সুনীল অর্থনীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বরাদ্দকৃত ব্লকসমূহের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য গণচীনে নির্মিত দুটি করভেট জাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে চীনের শিপবিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরের বছর ৯ আগস্ট জাহাজ দুটির স্টিল কাটিংয়ের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং গত ২৮ মার্চ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।

জাহাজ দুটি গত ১২ এপ্রিল চীনের সাংহাই বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে চীনের ইয়ানতিয়ান বন্দর এবং মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দর হয়ে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে শনিবার চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে এসে পৌঁছায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!