নোমানের আবেদনে পেছালো দুদকের মামলার রায়

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার রায়ের নির্ধারিত তারিখ ছিল রবিবার (৩০ জুন)। উচ্চ আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে আসামি পক্ষ। জেরার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে সোমবার (১৫ জুলাই)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবদুল্লাহ আল নোমানের একান্ত সহকারী নুরুল আজিম হিরো। তিনি বলেন, ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেনের আদালতে এ মামলার বিচার কাজ চলছে। আমাদের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে ২ ও ৫ নম্বর সাক্ষীকে পুনরায় জেরার জন্য আবেদন করেছেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন সোমবার (১৫ জুলাই)।

উল্লেখ্য,বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিল দুদক। এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট তার সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ করে দুদক। সে নোটিশ ২৬ অক্টোবর ১৯৯৭ নোমান গ্রহণ করেন।

দুদকের আইন অনুযায়ী নোটিশ পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয় অথবা সময়ের আবেদন করতে হয়। কিন্তু কোনটিই করেননি নোমান। যা ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।

ওই ঘটনায় ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দুদক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাহিদ বাদি হয়ে নোমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০০ সালের ৩০ মে নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ক্ষমতা থাকতেই নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রে আট জনের মধ্যে বিভিন্ন সময় সাতজন আদালতে সাক্ষ্য দেন বলে জানা গেছে।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!