বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে বিশাল গন জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বিকেলে চট্রগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যলয় নাছিমন ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর রাজপথ পদক্ষিন করে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে গণ জমায়েত ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানকে বিএনপির দূর্দিনের কান্ডারী ও সরকার বিরোধী চলমান গণ-তান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথের আপোষহীন নেতা উল্লেখ করে তাঁকে অবিলম্বে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বৈরচার বিরোধী সংগ্রামে দলে ঐকবদ্ধ প্লাটর্ফম সৃষ্টি করে দুর্বার আন্দোলনের পথে তৃনমুল কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন দিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। চট্টগ্রাম বিএনপিতে আজ যারা কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা তাদের প্রায় সকলেই তাঁর হাত ধরেই বিএনপিতে এসেছেন এবং তাঁর হাতে গড়া নেতাকর্মী।
বক্তারা বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বর্তমান স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার জন্য এবং রাজপথের আন্দোলনে সফলতা অর্জন করার জন্য জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমানকে যথাযথ সম্মান দিয়ে অবিলম্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করুন। নোমানকে অন্তর্ভূক্ত করলে দল লাভবান হবে এবং রাজপথের আন্দোলনে গতি সঞ্চার হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক এ.এম. নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও প্রবীণ বিএনপি নেতা এ্যাড. মোঃ কবির চৌধুরী। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, চট্টগ্রাম মাহনগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম.এ. হালিম, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক এম.এ.সবুর, কাজী আকবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিপু, কাউন্সিলর নিয়াজ মোঃ খান, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক,মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এম.এ. হাশেম রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল আলম রাসেল, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি বদরুল খায়ের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের যুগ্ন-সম্পাদক শেখ
নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম, বন্দর শ্রমিক দলের সভাপতি শামসুল আলম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলনেতা শ.ম. জামাল, বিএনপি নেতা ওহাব কাশেমী, আবু সালেহ, এ্যাড. সাত্তার সরোয়ার, জসিম উদ্দিন জিয়া, আশরাফ চৌধুরী, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজউল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক মাইনুদ্দিন শহীদ, মহানগর বিএনপি নেতা মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, ফাজ্জল হোসেন,বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন, খোরশেদ আলম, কাজী শামসুল আলম, খন্দকার নুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা জায়েদ বিন রশিদ, শেখ রাসেল, জমির উদ্দিন নাহিদ, জালাল উদ্দিন, সোহেল, বিএনপি নেতা এস.এম. সেলিম, এম. এম মফিজউল্লাহ, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক নজরুল সরকার প্রমূখ।
রিপোর্ট : মোর্শেদ রনি
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::