নোংরা গণি বেকারি বারবার জরিমানা গুণেও শোধরায় না, কারখানা অস্বাস্থ্যকর

সাত মাসের ব্যবধানে দুবার জরিমানা

যে গণি বেকারির বেলা বিস্কুট চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে, সেই গণি বেকারির বিরুদ্ধে বারেবারেই উঠছে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরির অভিযোগ। বারবার জরিমানা গুণলেও গণি বেকারি আর শোধরাচ্ছে না।

সর্বশেষ রোববারও (৩ অক্টোবর) অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরি করার অভিযোগে দেড় লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হল গণি বেকারিকে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী অভিযানে গিয়ে হাতেনাতে ধরেন গণি বেকারির কর্মীদের।

চট্টগ্রাম নগরীর চন্দনপুরা কলেজ রোডে অবস্থিত গণি বেকারিই এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একই অভিযোগে গুণেছে জরিমানা।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোক্তা অ‌ধিদপ্তরের এক অভিযানে চন্দনপুরা কলেজ রোডের গণি বেকারিতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলাকালে দেখা যায়, সেখানে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে পরিমাণ ও মূল্য উল্লেখ করা হয় না। ময়লা মেঝেতে খাদ্যপণ্য রেখে সেগুলো প্যাকেটে ভরা করা হয়। শুধু তাই নয়, গণি বেকারি তাদের পণ্যে লেবেলবিহীন ফ্লেভার ব্যবহার করে, কারখানায় ময়লার পাত্র রাখা হয় খোলা। সবমিলিয়ে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারিপণ্য তৈরির প্রমাণ পেয়ে চট্টগ্রামের নামি এই প্রতিষ্ঠান গণি বেকারিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্কও করে দেওয়া হয়।

এদিকে গত রোববারের অভিযানের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, ‘গণি বেকারির বেলা বিস্কুট চট্টগ্রামে নামকরা। সেইরকম একটা আস্থার জায়গা কিভাবে এত নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন হয়— ভাবতেই অবাক লাগে। আমি গণি বেকারিকে জরিমানা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্যও সতর্ক করে দিয়ে এসেছি।’

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!