নেতার করোনামুক্তি চেয়ে উল্টো করোনার ঝুঁকি ছড়াল উত্তর জেলা ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের করোনা মুক্তির জন্য রীতিমতো সমাবেশ করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ।

করোনায় আক্রান্ত একজনের আরোগ্য কামনায় করা এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বলে জানা গেছে। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় গণপরিবহনের ক্ষেত্রে একটি সিট ফাঁকা রেখে বসার যে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার সেই নিয়মটুকুও মানা হয়নি ছাত্রলীগ আয়োজিত ওই দোয়া মাহফিলে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এই মিলাদ মাহফিলের ছবিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানার এসব দৃশ্য দেখা গেছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা। ৩০০ থেকে ৪০০ বর্গফুটের ছোট একটি কক্ষে জনাপঞ্চাশেক মানুষ নিয়ে চলা এই দোয়া মাহফিলে অফিস কক্ষের বাইরেও ছিল লোকসমাগম। সভায় অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ভেতরের চেয়ে বাইরে ভিড় ছিল আরও বেশি।

নেতার করোনামুক্তি চেয়ে উল্টো করোনার ঝুঁকি ছড়াল উত্তর জেলা ছাত্রলীগ 1

করোনা যখন চট্টগ্রামে দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ঠিক সে সময়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার করোনা থেকে আরোগ্য কামনায় এরকম ঝুঁকি নিয়ে মিলাদ মাহফিল করা ঠিক হলো কিনা— এই প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি তাদের বকা দিয়েছি। বাইরে হয়তো কিছুটা ভীড় ছিল। তবে অফিসের ভেতর যথেষ্টই স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে। একেবারেই হয়নি এটা ঠিক না।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মিলাদ মাহফিল করেছি। সবাই ৩ ফুট দূরত্বেই ছিল। আমাদের অফিস ছোট হওয়ায় ভিড় এড়াতে আমরা করিডরেও কর্মীদের বসতে দিয়েছি।

রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, জসিম উদ্দিন শাহ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতেয়ার সাঈদ ইরান।

প্রসঙ্গত গত ২৫ জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এমএ সালাম। দুই দিন পর ২৭ জুন তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!