নেতাদের উপেক্ষা সঙ্গী করে বিএনপি নেতা টিংকু দাশের দেহাবসান

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক টিংকু দাশের দেহাবসান ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি নেতা টিংকু দাশকে ভোরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টিংকু দাশের ঘনিষ্ঠজনদের সাথে আলাপে জানা গেছে, তিনি উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যাসহ একাধিক জটিল রোগে ভুগছিলেন। কেউ কেউ ক্ষোভের সাথে জানালেন, যে দলের জন্য যৌবনের সোনালী দিনগুলো ত্যাগ-তিতীক্ষায় কেটেছে সেই দলের সিনিয়র নেতারা তার কোন খোঁজ রাখেননি। মামলা-গ্রেপ্তারে জর্জরিত টিংকুর শেষ দিনগুলো আর্থিক টানাটানিতেও কেটেছে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। স্ত্রী ও এক ছেলেসহ হাজারো সতীর্থ শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন টিংকু। তিনি নগর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। পরে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ছাত্ররাজনীতিতে যে সম্ভাবনা ও মেধা নিয়ে সরব উপস্থিতি ছিল টিংকু দাশের, তা নগর বিএনপির কোন্দলে আর প্রষ্ফূটিত হতে পারেনি বলে জানান তার সতীর্থরা।

তার বিরুদ্ধে নগরীর প্রায় সব থানা কমপক্ষে ২৪টি মামলা আছে বলে জানিয়েছেন নগর বিএনপির নেতারা। কারা-নির্যাতিত, ত্যাগী নেতা হিসেবে দলে তার পরিচিতি আছে। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৩ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে চার মাস কারাভোগের পর এপ্রিলে জামিনে মুক্ত হন টিংকু।

টিংকু দাশের মৃত্যুতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এসএম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদসহ নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।

দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য টিংকু দাশের মরদেহ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বলুয়ার দীঘির পাড় শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

এফএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!