নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে, পিসিআর টেস্টে পজিটিভ আসায় বিমানে উঠতে পারেননি ৪১ যাত্রী

ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের ১৮১ জন দুবাইগামী যাত্রীর মধ্যে ৪১ জনের পজিটিভ হওয়ায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এই ব্যক্তিরা বিক্ষোভ করেছেন। এতে বিমানবন্দরের গ্যালারীতে উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফিরে না গিয়ে অনশন শুরু করেন এই যাত্রীরা। তাদের যুক্তি, তারা সকলেই সুস্থ। সকলেই ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয়ভাবে করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। সেখানে নেগেটিভ এসেছে। অথচ বিমানবন্দরের পিসিআর ল্যাবে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে তাদের। পরে পুলিশ এসে রোগীদের বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে দেয়। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় চট্টগ্রাম থেকে দুবাই শিডিউল ছিল ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের। এতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮১ জন। কিন্তু এদের করোনার পিসিআর ল্যাব পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৪১ জনের। ফলে ৪১ জন ছাড়া ১৪০ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ছেড়ে যায় ফ্লাইটটি।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জয়নাল আবেদীন শরীফ জানান, সকাল সাড়ে ৮ টায় ফ্লাই দুবাই ফ্লাইটে ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ৪১ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ এসেছে। যাত্রীরা করোনা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আগের দিন রাত ১টার মধ্যে বিমানবন্দরে এসেছিল।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর মোহাম্মদ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বিমানবন্দরে আসার আগে স্থানীয়ভাবে করোনা পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অথচ বিমানবন্দরের পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ চলে এলো। এটি এ পিসিআর ল্যাবগুলোর কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।’

যেতে না পেরে আক্ষেপের সাথে ফটিকছড়ি সুন্দরপুরে মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, ‘ভিসার মেয়াদ আছে আর মাত্র এক সপ্তাহ। এখন আমি কি করবো, কোথায় যাবো কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। আমি একজন সুস্থ মানুষ। আমার শরীরে কোন লক্ষণও নেই। তবে আমি কেন পজিটিভ হলাম। বাড়িতে পরীক্ষা করিয়ে বিমানবন্দরে এসেছি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পিসিআর পরীক্ষায় কিছু লক্ষণ না থাকলেও পজিটিভ আসতে পারে। তবে পজেটিভ আসলে ১৪ দিন পর আবার যেতে পারছেন যাত্রীরা। যদি আরব আমিরাতের বিমানবন্দরে পজিটিভ আসে তাহলে তো আরও বেশী সমস্যায় পড়বে যাত্রীরা। সেই সাথে প্রশ্ন তোলা হবে আমাদের দেশের ল্যাবগুলোর বিরুদ্ধেও।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন, ‘বিমানবন্দরের পিসিআর ল্যাব পরীক্ষায় যাদের পজিটিভ হয়েছে তারাতো বাড়িতে চলে যেতেই হবে। তাই তারা সেটি মেনে নিতে চান না। আসলে প্রবাসীরা কষ্ট করে ভিসা টিকিট করেন। এখানে যখন বাঁধাপ্রাপ্ত তখন একটু উত্তেজিত হন। এটি স্বভাবিকই।’

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!