নীতিমালাবিরুদ্ধ কাজের অভিযোগে বন্দর কর্মকর্তা বরখাস্ত

চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ম ভঙ্গ করে পত্রিকায় প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করা এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়মগুলোর বাত্যয় ঘটানোর দায়ে বন্দরের এক কর্মকর্তাকে সামিয়ক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মকতার নাম গোলাম মো. সারওয়ারুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের পাঁনগাও টার্মিনালের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। গত ২৭ মে সোমবার বন্দরের এক আদেশে সরওয়ারুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়। ওই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমলাপুর কনটেইনার ডিপোর ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার আহমেদুল করিম চৌধুরীকে। এর মধ্যে তিনি মঙ্গলবার (২৮ মে) দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।

সাময়িক বরখাস্তের ওই আদেশে বলা হয়, সংস্থার নিয়ম ভঙ্গ করে পত্রিকায় প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করা এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠিত নিয়মগুলোর বাত্যয় ঘটনোর বিষয়ে তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ পাওয়ায় বন্দর কর্মচারী প্রবিধানমালার ১৯৯১ এর বিধানমতে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

বন্দর সূত্র জানায়, বন্দরের টার্মিনাল ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করার সময় টার্মিনাল ভবনে কনটেইনারের স্পেশাল পারমিশনের নামে মাসে অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর গোলাম সারওয়ারুল ইসলাম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব অভিযোগের জবাব দেন। এটি বন্দরের প্রবিধানমালার লঙ্ঘন।

জানা গেছে, আবার এনবিআরের সার্ভারে ঢুকে যেসব কনটেইনার খালাস হয়েছে সেগুলো ২২২টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য ‘বিশেষ অনুমতি’ দেন এই কর্মকর্তা। এ নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও ব্যাখ্যা চায় বন্দরের কাছে। জাতীয় ও সামাজিক নিরাপত্তাঝুঁকির তথ্য থাকার পরও এমন পণ্য খালাসে অগ্রাধিকার নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বন্দরের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থায় উড়োচিঠি দিয়ে বন্দরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন এই কর্মকর্তা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রথমে তাকে বন্দরের টার্মিনাল ব্যবস্থাপকের পদ থেকে সরিয়ে পানগাঁও টার্মিনালে বদলি করে দেওয়া হয়।

সাময়িক বরখাস্তের পর গোলাম মো. সারওয়ারুল ইসলামকে প্রতিদিন বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এর কার্যালয়ে নিয়মিত হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

এসসি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!