নিলামের পেঁয়াজে পঁচন, লোকসান গুণছেন সেই সৌভাগ্যবান মাসুম

নিলামে কেনা পেঁয়াজে লোকসান গুনছেন কোতোয়ালী এলাকার মাসুম। নিলামে সর্বোচ্চ ৯১ টাকা দরে কেনা ১৭৫ কেজি পেঁয়াজের বেশির ভাগই পচে গেছে বলে জানালেন তিনি। দ্রুত পেঁয়াজ পচে যাওয়ার কারণে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে মাসুম বলেন, অনেকদিন ধরে পেঁয়াজের ব্যবসা করছি। কিন্তু এতো দ্রুত পেঁয়াজ নষ্ট হতে দেখিনি। নিলামে জেতার পর প্রায় ১৫ হাজার টাকায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ১৭৫ কেজি কিনে নিয়েছিলাম। কিন্তু বেশির ভাগ পেঁয়াজ খুব অল্প সময়ের মধ্যে পচে গেছে। গত তিন দিনে পচে নষ্ট হয়েছে প্রায় ৪০ কেজি পেঁয়াজ, বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০০ কেজি। কেনা দামের কমে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ার কারণে লোকসান গুণতে হতে পারে প্রায় ১০ হাজার টাকা।

নিলাম জেতার পর থেকে কত টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকার পেঁয়াজ। এখনো রয়ে গেছে প্রায় ৩৫ কেজি। তাই আর কোন উপায় না দেখে আজ সকালে ৫ কেজি পেঁয়াজ স্থানীয় এক হোটেলে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করি। কিন্তু পেঁয়াজগুলো নষ্ট থাকায় তা সন্ধ্যায় আবার ফেরত আসে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২ ডিসেম্বর) ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য বরাদ্দ করা পেঁয়াজ খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে নগরীর অক্সিজেন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭৫ কেজি পেঁয়াজ জব্দ করা হয়। ওই পেঁয়াজগুলো নিলামে তোলেন অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতে ডাকা পেঁয়াজ নিলামে অংশ নেন ১৫ জন ব্যবসায়ী। কেজি ৪৫ টাকা থেকে ডাক শুরু হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর গিয়ে দাঁড়ায় ৮৭ টাকা। সর্বোচ্চ ৯১ টাকা দর হেঁকে পেঁয়াজের নিলাম জিতে নেন মাসুম।

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!