নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় এমপি মুস্তাফিজের জামিন না মঞ্জুর

চট্টগ্রামে নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় বাঁশখালির সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর জামিন না মঞ্জুর করে আগামী ২০ জুনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

তিনি আজ উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে আগামী ২০ জুন তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।

 

এর আগে ১ জুন সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় ৩ জুন দুপুরে দণ্ডবিধির ৩৫৩/৩৪৩/৩৪ ধারায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুphoto_115129রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে দায়েরকৃত মামলায় এমপি মোস্তাফিজ ছাড়াও স্থানীয় আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, গত বুধবার ১১টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে ডেকেন নেন এমপি মোস্তাফিজুর। সেখানে পৌঁছানোর পর  দরজা বন্ধ করে জাহিদুলকে মারধর করেন এমপি ও তার সহযোগীরা।

 

তিনি বলেন, বাঁশখালীর ৪ নম্বর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে-ইউপি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী তাজুল ইসলাম তার পছন্দমতো প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগের একটি ফর্দ দেন। কিন্তু প্রার্থীর পছন্দ অনুযায়ী তিনি কর্মকর্তা নিয়োগ দেননি। ফর্দ অনুযায়ী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়ায় এমপি তাকে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে তিনি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় এমপির সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাজুল এবং ওলামা লীগ নেতা মাওলানা আক্তারসহ আরও কয়েকজনও তাকে মারধর করেন।

 

ঘটনার পর বুধবারই নির্বাচন কমিশন-ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রচলিত আইনে এই মামলা করবেন।

এছাড়া মারধরের ঘটনার পর সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় বাঁশখালী উপজেলার সব ইউপির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন সচিব।

 

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!