ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলার শিকার হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ জীবিত নাবিককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাবিকদের জাহাজ থেকে নামিয়ে টাগবোটে করে জেটিতে নেয়া হয়।
সেখান থেকে তাদেরকে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেয়া হয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে তাদের পোল্যান্ড সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর পাঠানো হবে দেশে। তাদের সঙ্গে নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের লাশও রয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে রকেট হামলার শিকার হয়। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৩৩) নিহত হন। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩ নম্বর হোসনাবাদ ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা জাহাজটিতে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন।
বর্তমানে মিশর সফরে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন−ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে থাকা ২৮ নাবিককে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের মরদেহও রয়েছে।’
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) সূত্রে জানা গেছে, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরএম/ডিজে